Advertisement
Advertisement
cabinet meeting

অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের অভাব হবে না, দেশবাসীকে আশ্বস্ত করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী

নরেন্দ্র মোদির বাসভবনে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর এই কথা জানান প্রকাশ জাভড়েকর।

No shortage of essentials, don't resort to panic-buying

ফাইল চিত্র

Published by: Soumya Mukherjee
  • Posted:March 25, 2020 5:29 pm
  • Updated:March 25, 2020 5:29 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা ভাইরাস (Corona Virus)’র সংক্রমণ রুখতে বুধবার থেকে দেশজুড়ে ২১ দিনের লকডাউন শুরু হয়েছে। এর ফলে চিন্তায় পড়ে গিয়েছেন সাধারণ নাগরিকরা। এতদিন কাজ বন্ধ থাকলে খাবার জুটবে কী করে তা ভেবেই আকুল হয়ে যাচ্ছেন তাঁরা। তাঁদের মনের কথা অনুভব করে বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাসভবনে বৈঠকে বসে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। আর তারপরই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে লকডাউনের সময় দেশের মানুষকে কী সুবিধা দেওয়া হবে সেবিষয়ে ঘোষণা করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর।

এপ্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘লকডাউনের সময় দেশের মানুষের যাতে খাদ্যের অভাব না হয় তার জন্য নজরদারি চালাচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার। ভয়াবহ এই সময়ে কেউ যাতে অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের কালোবাজারি না করে সেই দিকেও সতর্ক দৃষ্টি রাখা হচ্ছে। করোনা মোকাবিলার জন্য প্রতিটি রাজ্যের সরকারও খুব ভাল পদক্ষেপ নিচ্ছে। তাই দেশের মানুষের কাছে অনুরোধ করব লকডাউনের বিষয়টি নিয়ে অযথা আতঙ্কিত হবেন। বাড়ি থাকুন, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখুন ও বারবার হাত ধুয়ে নিন। আর যদি নোভেল করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার কোনও উপসর্গ দেখতে পান তাহলে চিকিৎসকের কাছে যান। মারাত্মক এই ভাইরাসের কবল থেকে দেশবাসীকে বাঁচানোর জন্য ২১ দিনের এই লকডাউনটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই এই সময়টা নিজের পরিবারের সঙ্গে ভাল করে কাটান। এই সময় অযথা আতঙ্কিত হয়ে কেনাকাটাও করবেন না। কারণ দেশজুড়েই প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের যথেষ্ট যোগান রয়েছে।’

Advertisement

[আরও পড়ুন: ৩৬ ঘণ্টায় হাঁটলেন ৮০ কিমি! লকডাউনে রাস্তায় বেরিয়ে গ্রেপ্তার যুবক ]

 

Advertisement

এরপরই গরিব মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য কেন্দ্রীয় সরকার সবরকম ব্যবস্থা নিচ্ছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। বলেন, ‘এই সময়ে দেশের সমস্ত গরিব মানুষকে তিনটাকা কিলো দরে চাল ও দুটাকা কিলো দরে গম দেওয়া হবে। শস্তায় কিংবা সম্পূর্ণ বিনামূল্যে রেশন দেওয়ার বিষয়েও আলোচনা হচ্ছে। বিশ্বের বৃহত্তম খাদ্য সুরক্ষার ব্যবস্থা মাধ্যমে প্রয়োজনে আগামী তিনমাসের এই রেশন চালু রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। আজকের বৈঠকে চুক্তিভিত্তিক শ্রমিকদের নির্দিষ্ট সময়ে টাকা মেটানোর কথাও বলা হয়েছে। পাশাপাশি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে দেশের প্রতিটি জেলায় যেকোনও রকমে প্রয়োজনে ফোন করার জন্য একটি হেল্পলাইন নম্বর দেওয়া হচ্ছে। রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাংকের গ্রামীণ শাখাগুলি একদিন অন্তর খোলা থাকবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’

[আরও পড়ুন: সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে কৌশল, বাজার-দোকানে ‘সুরক্ষারেখা’ টানল পুলিশ]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ