সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফণীর পর কেটে গিয়েছে সপ্তাহখানেক৷ তবে এখনও পুরোপুরি স্বাভাবিক ছন্দে ফেরেনি ওড়িশা৷ বিদ্যুৎ বিপর্যয় এবং জলের সমস্যার সমাধান হয়নি৷ তার জেরেই ক্রমশই ক্ষোভ বাড়ছে ওড়িশার ফণী বিধ্বস্ত এলাকাগুলিতে। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ দেখিয়েছেন স্থানীয়রা৷ আগামী রবিবারের মধ্যে পরিষেবা স্বাভাবিক করার চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও জানান রাজ্য প্রশাসনের আধিকারিকরা৷
গত ৩ মে শুক্রবার সকালে নির্ধারিত সময়ের কয়েকঘণ্টা আগেই ওড়িশায় আছড়ে পড়েছিল ঘূর্ণিঝড় ফণী৷ প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে ওড়িশার ১১টি জেলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়৷ অন্তত তিরিশেরও বেশি মানুষের প্রাণহানি হয়েছে৷ উপড়ে গিয়েছে বহু গাছপালা৷ বিদ্যুতের খুঁটিও উপড়ে গিয়েছে। ফলে ফণীর পরদিন থেকেই একটু একটু করে স্বাভাবিক হচ্ছে পরিস্থিতি৷ কিন্তু বিদ্যুৎ বিপর্যস্ত বেশিরভাগ এলাকারই কোনও উন্নতি নেই৷ গত আটদিন ধরে বিদ্যুৎহীন উপকূলীয় এলাকাগুলি৷ সেই সমস্যাকে আরও বাড়িয়েছে তাপপ্রবাহের চোখরাঙানি। একে বিদ্যুৎ-জল নেই, তার উপর গরমের দাপট৷ সবমিলিয়ে রাজ্যবাসীর ক্ষোভের পারদ ক্রমশই চড়ছে৷
রাজ্যের উপকূলীয় জেলাগুলিতে বিদ্যুৎ গ্রাহকের সংখ্যা সাড়ে চার লক্ষেরও বেশি। বিদ্যুৎ ও পানীয় জলের পরিষেবা স্বাভাবিক করার দাবিতে বিভিন্ন জায়গায় ইতিমধ্যেই বিক্ষোভ দেখিয়েছেন অনেকেই৷ শুক্রবারই ভুবনেশ্বরের গ্যারাজ চকে বিপুল সংখ্যক মানুষ বিক্ষোভ দেখান। অভিযোগ, সেন্ট্রাল ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই ইউলিটির অফিসে হামলারও চেষ্টা করা হয়৷ তবে রাজ্য প্রশাসনের দাবি, ইতিমধ্যেই বেশিরভাগ জায়গায় বিদ্যুৎ পরিষেবা স্বাভাবিক হয়ে গিয়েছে। যে সব জায়গা এখনও বিদ্যুৎহীন সেখানে পরিষেবা স্বাভাবিক করতে বিদ্যুৎ দপ্তরের কর্মীরা প্রায় চব্বিশ ঘণ্টা কাজ করছেন৷ রাজ্যের মুখ্যসচিব এ পি পাধী জানান, ভুবনেশ্বরে ৫০ শতাংশ গ্রাহকের বিদ্যুৎ পরিষেবা স্বাভাবিক। যত দ্রুত সম্ভব বাকি অঞ্চলগুলিতেও পরিষেবা স্বাভাবিক করার চেষ্টা চলছে। রবিবারের মধ্যে ভুবনেশ্বরের ১০০ শতাংশ এলাকার বিদ্যুৎ পরিষেবা স্বাভাবিক করার চেষ্টা চলছে বলে আশ্বাস দিয়েছেন তথ্য এবং জনসংযোগ দপ্তরের সচিব সঞ্জয় সিং৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.