ফাইল ফটো
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গত জুলাই মাসে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অর্জুন রাম মেঘওয়াল দাবি করেছিলেন, করোনা সংক্রমণের হাত থেকে রক্ষা পেতে গেলে ‘ভাবিজি পাপড়’ (Bhabhiji papad) খেতে হবে। তাহলেই শরীরে তৈরি হবে মারণ ভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা। এরপর তাঁর সেই নিদানকে কেন্দ্র করে সৃষ্টি হয় বিতর্ক। পরে খোদ মেঘওয়াল কোভিড পজিটিভ হয়েছিলেন। বৃহস্পতিবার শিব সেনা সাংসদ সঞ্জয় রাউত (Sanjay Raut) রাজ্যসভায় সেই প্রসঙ্গ তুলেই খোঁচা দিলেন কেন্দ্রীয় সরকারকে।
তিনি বলেন, ‘‘অতিমারীর (Pandemic) মোকাবিলা মহারাষ্ট্র ভালভাবেই করতে পেরেছে। এবং কেউই ভাবিজি পাঁপড় খেয়ে সুস্থ হয়নি।’’ করোনা মোকাবিলায় মহারাষ্ট্রের চ্যালেঞ্জ প্রসঙ্গে সঞ্জয় ধারাভি বস্তি এলাকার কথাও তোলেন। তিনি বলেন, ‘‘ধারাভি শ্রেষ্ঠ উদাহরণ। দেশের সবচেয়ে বড় বস্তি ওটা।’’
তিনি আরও বলেন, ‘‘বহু মন্ত্রীও আক্রান্ত হয়েছেন। প্রাক্তন ক্রিকেটার-মন্ত্রী চেতন চৌহানের মৃত্যুও হয়েছে। এই ইস্যুতে কোনও কাদা ছোঁড়াছুঁড়ি কাম্য নয়। আমাদের সকলকে একসঙ্গে অতিমারীর মোকাবিলা করতে হবে।’’
এদিন দেশের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে বিতর্কের সময় এনসিপি নেতা প্রফুল্ল পটেল বলেন, মহারাষ্ট্রকে অকারণে টার্গেট করা হচ্ছে। এই সময়ে সকলের একসঙ্গে লড়াই করা দরকার।
কেন মাত্র চার ঘণ্টার নোটিসে দেশব্যাপী লকডাউনের ঘোষণা করা হয়েছিল সে নিয়েও এদিন কেন্দ্রকে তোপ দাগেন কংগ্রেস নেতা আনন্দ শর্মা। বুধবারই কেন্দ্র জানিয়েছিল, দ্রুত লকডাউন না ডাকলে আরও ১৪ থেকে ২৯ লক্ষ ভারতীয় করোনা আক্রান্ত হতেন। সে প্রসঙ্গ তুলে শর্মা বলেন, ‘‘গতকাল স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ওই সিদ্ধান্তের ফলে ১৪ থেকে ২৯ লক্ষ ভারতীয়কে করোনা সংক্রমণের হাত থেকে বাঁচিয়েছে। ৩৭০০০ থেকে ৭৮০০০ মানুষ মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা পেয়েছেন। এই কক্ষকে জানানো হোক কোন বৈজ্ঞানিক ভিত্তিতে এমন দাবি করা হচ্ছে এবং কীভাবে এমন সিদ্ধান্তে পৌঁছনো গেল।’’
পরিযায়ী শ্রমিকদের সম্পর্কে সরকারের কাছে কোনও তথ্য না থাকার বিষয় নিয়েও কেন্দ্রকে আক্রমণ করেন কংগ্রেস নেতা। তিনি বলেন, যদি শহরে পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য কোয়ারেন্টাইন কেন্দ্র বানানো হত তাহলে গ্রামীণ এলাকায় সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া আটকানো যেত।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.