সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আধার কার্ড, প্যান কার্ড, রেশন কার্ড, ভোটার কার্ড, ড্রাইভিং লাইসেন্স, পাসপোর্ট আরও না জানি কতও রকমের নথি আমাদের দৈনন্দিন জীবনে কাজে লাগে। সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ নথি বয়ে বেড়াতে হয় সঙ্গে। এতে যেমন এই কাগজের নথিগুলি নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে তেমনি সম্ভাবনা থাকে হারিয়ে ফেলারও। সরকারি দপ্তরেও এই নথিগুলির প্রত্যয়িত প্রতিলিপি জমা পড়ে তৈরি হয় কাগজের পাহাড়। এসব ঝক্কি থেকে মুক্তি দিতে এবার নয়া উদ্যোগ নিল কেন্দ্র সরকার। এখন থেকে সমস্ত নথি পাওয়া যাবে ডিজিটাল রুপে। মানে আপনার আধার কার্ড হবে ডিজিটাল, প্যান কার্ড বা ভোটার কার্ডও আপনি বানিয়ে নিতে পারেন ডিজিটাল ফরম্যাটে। আপনার সমস্ত ডকুমেন্ট নিয়ে তৈরি হবে ডিজি-লকার। যার পাসওয়ার্ড থাকবে শুধুমাত্র আপনার কাছে। এই ডিজি-লকারে জমা থাকা ডকুমেন্ট আপনি ব্যবহার করতে পারবেন যে কোনও সরকারি কাজে। কাগজের নথি আপনাকে জমা দিতে হবে না।
[গোমাংস ভক্ষণ করা নেহরু পণ্ডিত নয়, বিস্ফোরক বিজেপি বিধায়ক]
২০১৫ সালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই প্রকল্পের সূচনা করেন। ৩ বছরে বাস্তবায়ন সম্ভব হল। নোট বাতিলের পর থেকেই ডিজিটাল লেনদেনে জোর দিয়েছে সরকার। মূলত সরকারি প্রক্রিয়ায় ঝক্কি কমাতে এবং কাগজের ব্যবহার কমাতে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আগামীদিনে বেসরকারি ক্ষেত্রেও প্রয়োগ করা হতে পারে এই পদ্ধতি। যখন কোনও নথি প্রয়োজন হবে আপনি আপনি ডিজি লকারটি খুলে সেই ডকুমেন্টের প্রতিলিপি সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে ফরোয়ার্ড করে দিতে পারবেন, আর কোনও ঝক্কি আপনাকে পোয়াতে হবে না। এর সবচেয়ে বড় সুবিধা হল, আপনাকে সবসময় আপনার গুরুত্বপূর্ণ নথিগুলি বয়ে বেড়াতে হবে না, মোবাইলেই তা বন্দি থাকবে। বারবার ডকুমেন্টের জন্য আধিকারিকদের হেনস্তার শিকার হতে হয় অনেক সময়, সেই ঝঞ্জাটও এড়ানো যাবে। কাগজের ব্যবহার কমলে একদিকে যেমন পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণে আসবে অন্যদিকে তেমনি সরকারি আধিকারিকদের ঝামেলাও কমবে।
[স্বাধীনতা দিবসের আগে রাজধানীর নিরাপত্তায় নামছে দেশের প্রথম মহিলা SWAT টিম]
কিন্তু এই ডিজিটালাইজেশনের সবচেয়ে বড় প্রশ্ন নিরাপত্তা। প্রতিনিয়ত যেভাবে হ্যাকারদের রমরমা বাড়ছে তাতে আধার বা প্যান কার্ডের মতো গুরুত্বপূর্ণ নথি ডিজিটালাইজ করাটা কতটা নিরাপদ তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে? প্রশ্ন উঠছে, এটিএমের মতো নিরপাদ জায়গাও যদি হ্যাক করা যেতে পারে তাহলে ডিজি-লকার হ্যাক হবে না তাঁর নিশ্চয়তা কোথায়?