Advertisement
Advertisement
corona

করোনামুক্ত নার্সকে ঘরে ফেরাতে নারাজ স্বামী, চাইলেন ১০ লক্ষ টাকা ‘পণ’

২০২০ সালের এপ্রিলে করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর তাঁর স্বামী তাঁকে এক প্রকার ত্যাগই করেন।

Nurse who contracted corona was told by her husband to cough up Rs 10 lakh to continue staying with him । Sangbad Pratidin

ছবি: প্রতীকী

Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:March 22, 2021 3:57 pm
  • Updated:March 22, 2021 3:57 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শুরুর দিন থেকে গোটা বিশ্ব করোনা (Coronavirus) যুদ্ধে সামনের সারির সৈনিকদের প্রতি অকুণ্ঠ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে এসেছে। কিন্তু আহমেদাবাদে (Ahmedabad) এক নার্সের ক্ষেত্রে উলটো অভিজ্ঞতা হল। তাও আবার তাঁর স্বামীর কাছ থেকেই পেলেন। ওই নার্স (Nurse) করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন। কিন্তু সেরে ওঠার পরেও তাঁকে ঘরে ফিরিয়ে নিতে রাজি হননি তাঁর স্বামী। শর্ত রাখা হয়, ১০ লক্ষ টাকা দিলে তবেই শ্বশুরবাড়িতে ফিরতে পারবেন ওই নার্স। বারবার আলোচনা করে বিষয়টি মিটিয়ে নিতে চাইলেও ওই নার্সের শ্বশুরবাড়ির লোকেদের তাঁদের অবস্থান থেকে নড়ানো যায়নি। ফলে শেষ পর্যন্ত থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ওই নার্স।

বছর সাতাশের ওই নার্স আহমেদাবাদের ইসানপুর এলাকার বাসিন্দা। তিনি মণিনগরে এলজি হাসপাতালে নার্সের কাজ করেন। দেশজুড়ে করোনা অতিমারী আকার নেওয়ার আগে গত বছর ২৪ ফেব্রুয়ারি তিনি খোখরা এলাকার এক ব্যক্তিকে বিয়ে করেন। কিন্তু যেহেতু তিনি হাসপাতালে করোনা রোগীদের চিকিৎসার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন, সম্ভবত সেখান থেকেই তিনি আক্রান্ত হয়ে পড়েন। এপ্রিল মাসে তাঁর করোনা ধরা পড়ে। কিন্তু সেই অবস্থাতেও তিনি তাঁর স্বামী বা শ্বশুরবাড়ির লোকেদের পাশে পাননি।

Advertisement

ওই নার্স শনিবার আহমেদাবাদের খোখরা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। সেখানে তিনি অভিযোগ করেন, ২০২০ সালের এপ্রিলে করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর তাঁর স্বামী তাঁকে এক প্রকার ত্যাগ করেন। এমনকী বিয়ের পর থেকেই তাঁর স্বামী এবং শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাঁকে নির্যাতন করতেন। কিন্তু সম্পর্ক টেকানোর জন্য তিনি কার্যত মুখ বুজে সয়ে নিতেন। এমনকী করোনার প্রকাপ শুরু হওয়ার পর তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাঁকে চাপ দিতে শুরু করেন। তাঁকে বলা হয়, নার্সের কাজ করা চলবে না। কারণ তিনি হাসপাতাল থেকে করোনার সংক্রমণ বাড়িতে বয়ে আনতে পারেন। তাঁর বিয়ের মাস দেড়েক পরেই করোনা অতিমারী শুরু হয়ে যায় দেশজুড়ে। সেই অবস্থায় নিজের কর্তব্যের তাগিদে শ্বশুরবাড়ির চাপ উপেক্ষা করেই তিনি নিজেকে হাসপাতালে রোগীদের সেবায় নিয়োজিত রেখেছিলেন। কিন্তু তা মেনে নিতে পারেননি স্বামী-সহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন।

Advertisement

[আরও পড়ুন: তলোয়ার নিয়ে পুলিশকে আক্রমণ নিহাঙ্গ শিখদের, ২ অফিসারের হাতে কোপ]

এপ্রিলে করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর ওই নার্সকে আর বাড়িতে নিতে চাননি তাঁর স্বামী। তবে শর্ত দেওয়া হয়, বাপের বাড়ি থেকে যদি ১০ লক্ষ টাকা নিয়ে আসেন তবেই তাঁকে শ্বশুরবাড়িতে থাকতে দেওয়া হবে। এমনকী বাপেরবাড়ির লোকজনের মধ্যস্থতায় তিনি স্বামীর সঙ্গে সব সমস্যা মিটিয়ে নিয়ে একসঙ্গে থাকার চেষ্টাও করেন। কিন্তু সেখানে তাঁর ননদ বাগড়া দেন বলে অভিযোগ। তাঁর ননদ নিজেও একজন নার্স। তিনি দাবি করেন, সদ্য করোনা পরীক্ষা করার সংশাপত্র দিলে তবেই শ্বশুরবাড়িতে ঢুকতে দেওয়া হবে। কিন্তু অভিযোগকারী নার্স নতুন করে কোনও করোনা পরীক্ষা করাতে রাজি হননি। ফলে সমস্যা মেটেনি।

[আরও পড়ুন: এই সুন্দরী ‘মহিলা’ আসলে মাঝবয়সি এক পুরুষ মানুষ!]

ওই নার্স তাঁর এফআইআরে অভিযোগ করেছেন, গত ৬ মাস ধরে তাঁর স্বামী সেভাবে কোনও যোগাযোগ রাখছেন না। এমনকী ওই নার্সকে বিবাহবিচ্ছেদের মামলা দায়ের করতে বলেন তাঁর স্বামী। শেষ পর্যন্ত সব চেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার পর ওই মহিলা স্বামীর বিরুদ্ধে পণের জন্য চাপ দেওয়ার অভিযোগও দায়ের করেছেন। পুলিশ অভিযোগ পাওয়ার পর গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। এখনও পর্যন্ত নার্সের শ্বশুরবাড়ির তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ