সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হায়দরাবাদ পুলিশের এনকাউন্ডারের পর তরুণী পশু চিকিৎসকের গণধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় ক্ষতে খানিকটা মলম লেগেছিল। কিন্তু ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই প্রাণ হারিয়েছেন অগ্নিদগ্ধ উন্নাওয়ের নির্যাতিতা। আর সে নিয়েই উত্তাল গোটা দেশ। তারই মধ্যে ফের শিরোনামে নাবালিকার ধর্ষণের ঘটনা। প্রধান শিক্ষিকার স্বামীর যৌন লালসার শিকার সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী। শুধু তাই নয়, ঘটনায় গর্ভবতীও হয়ে পড়ে সে। অবশেষে শুক্রবার গ্রেপ্তার করা হল সেই ‘গুণধর’ ব্যক্তিকে।
ঘটনা ওড়িশার কোরাপুট জেলার। তদন্তকারী আধিকারিক জানান, স্কুলের প্রধান শিক্ষিকার স্বামীর বয়স ৬০ বছর। স্ত্রীর সঙ্গে স্কুলের স্টাফ কোয়ার্টারেই থাকত সে। জয়পুরের এসডিপিও বরুণ গুন্টুপল্লি বলেন, “স্ত্রীর অনুপস্থিতিতে নানা কারণে ওই নাবালিকাকে কোয়ার্টারে ডেকে নিত ব্যক্তি। তারপর তার উপর চলত যৌন অত্যাচার।” একাধিকবার এমন ঘটনা ঘটলেও প্রথমে তা কাউকে জানাতে পারেনি নাবালিকা। এই ভয়ে যে তার কথা কেউ হয়তো বিশ্বাসই করবে না। কিন্তু পরবর্তীকালে গোটা ঘটনা সামনে আসে। অবশেষে শুক্রবার গ্রেপ্তার করা হয় অভিযুক্তকে। তার বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধি এবং পকসো আইনে মামলা রুজু হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, জেরায় নিজের অপরাধ স্বীকার করেছে সে।
[আরও পড়ুন: ‘ধর্ষণের তদন্ত শেষ করতে হবে দু’মাসের মধ্যেই’, রাজ্যগুলিকে চিঠি কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রীর]
নাবালিকা এখন তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা। জেলার শিশু সুরক্ষা আধিকারিক রাজশ্রী দাস জানান, মেডিক্যাল পরীক্ষার পর শিশু সেবাকেন্দ্রে নাবালিকাকে রাখার ব্যবস্থা করা হবে। জেলাকল্যাণ আধিকারিক মধুস্মিতা মহাপাত্র বলেন, “সরকারি কোয়ার্টারে যাতে কোনও পুরুষ সদস্য না থাকে তার নির্দেশ ছিল। প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হবে।” গোটা ঘটনায় রীতিমতো স্তম্ভিত স্কুল কর্তৃপক্ষ। প্রধান শিক্ষিকার স্বামীর কুকীর্তি ফাঁস হওয়ার পর অন্যান্য ছাত্রীদের মধ্যেও ছড়িয়েছে আতঙ্ক। যদিও এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষিকা কিছু জানতেন না বলেই খবর।
Odisha: A Class 7 student allegedly raped at a school in Koraput by the husband of headmistress. Police says,”the victim is three months pregnant and the accused has been arrested.”
— ANI (@ANI) December 7, 2019