সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লকডাউনের মার। বিশ্ব সাইকেল দিবসে চাকা থামল ৬৯ বছরের পুরনো সংস্থা অ্যাটলাসের। যে সাইকেলের দেশজোড়া নাম, বছরে ১২ লক্ষ সাইকেল তৈরি করা সংস্থা অ্যাটলাসের কারখানায় তালা পড়ল বুধবার। ঘটনাচক্রে সেদিনই ছিল বিশ্ব সাইকেল দিবস। বলা হয়, মেহনতি মানুষের সঙ্গী হল সাইকেল। পরিবেশবান্ধব এই যান ১৯৫১ সাল থেকে করে আসছিল অ্যাটলাস। কিন্তু গত কয়েক বছরে প্রবল আর্থিক ক্ষতি আর সাম্প্রতিক লকডাউনের মার। জোড়া ফলায় বিদ্ধ হয়ে কারখানা বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। সেইসঙ্গে একধাক্কায় কর্মহীন হয়ে পড়লেন প্রায় ৭০০ শ্রমিক। গাজিয়াবাদের এই বিখ্যাত কারখানার ঝাঁপ পড়তেই যেন একটি সুন্দর অধ্যায়ের শেষ হল।
১৯৫১ সালে এই সংস্থার প্রতিষ্টা করেছিলেন জানকী দাস কাপুর। ১৯৬৫ সাল পর্যন্ত দেশের বৃহত্তম সাইকেল প্রস্তুতকারক সংস্থা। প্রথমে বছরে ১২ হাজার সাইকেল তৈরি করত এই সংস্থা। ১৯৭৮ সালে দেশের প্রথম রেসিং সাইকেল তৈরি করে অ্যাটলাস। বহু আন্তর্জাতিক পুরষ্কার জিতেছিল অ্যাটলাস। ২০০৩ সালে সংস্থাকে ঢেলে সাজানো হয়। পুনর্গঠনের পরও দিব্যি চলছিল কারখানার কাজকর্ম। ২০০৫ সালে বিদেশি সংস্থার সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধে অ্যাটলাস।
[আরও পড়ুন: চাল-ডাল, আলু-পিঁয়াজ আর অত্যাবশ্যকীয় পণ্য নয়, আইন সংশোধন মোদি সরকারের]
তবে গত কয়েক বছরে প্রবল আর্থিক সংকটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিল এই সংস্থা। উৎপাদন প্রায় ছিল না বললেই চলে। আর লকডাউনের মধ্যে সংকট আরও তীব্র হয়। বছরে ১২ লক্ষ সাইকেল উৎপাদন করা কারখানার এমন অবস্থা হয়েছিল যে কাঁচামাল কেনার সামর্থ্যটুকু ছিল না। কোনওভাবেই আর উৎপাদন সম্ভব হচ্ছিল না। বাধ্য হয়েই কারখানা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয় কর্তৃপক্ষ। আর কারখানা বন্ধ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে একধাক্কায় প্রায় ৭০০ শ্রমিক কাজ হারালেন।