নন্দিতা রায়, নয়াদিল্লি: রাজ্যসভার ডেপুটি চেয়ারম্যান পদে পি জে ক্যুরিয়েনের মেয়াদ শনিবারই শেষ হয়েছে। এই পদে তাঁর অবসর উপলক্ষে রবিবার বিকেলে এক চা-চক্রের আয়োজন করেছেন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান তথা উপরাষ্ট্রপতি বেঙ্কাইয়া নায়ডু। সেই অনুষ্ঠানে বিরোধী দলগুলির নেতা, সংসদ বিষয়কমন্ত্রী অনন্ত কুমার-সহ এক ঝাঁক কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর হাজির থাকার কথা। এদিন থেকেই রাজ্যসভার ডেপুটি চেয়ারম্যান পদটি দখলের জন্য সরকার ও বিরোধী জোটের মধ্যে লড়াই শুরু হয়ে যাবে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। ইতিমধ্যেই দুই শিবিরে এই পদটি দখলে রাখতে রাজনৈতিক তৎপরতা শুরু হয়ে গিয়েছে।
[কেন আটকে বিধায়কের ছেলের স্করপিয়ো? রাস্তায় ফেলে বেধড়ক মার অন্য গাড়ির চালককে]
দীর্ঘ ২৬ বছর পরে এবার এই পদটিতে নির্বাচন হতে চলেছে। শেষবার ১৯৯২ সালে এই পদের জন্য নির্বাচন হয়েছিল। এবার এই পদটি শাসকদল নিজেদের দখলে রাখতে সমর্থ হবে, নাকি সম্মিলিত বিরোধীরা তা ছিনিয়ে নেবে সেই নিয়ে রাজধানীর রাজনৈতিক মহলে উত্তেজনার পারদ তুঙ্গে। বিরোধী জোটের প্রার্থী হিসাবে বিভিন্ন জনের নাম জল্পনায় উঠে আসছে ঠিকই, কিন্তু এখনও পর্যন্ত নিশ্চিতভাবে কোনও নাম সামনে উঠে আসেনি। গত কয়েকদিনে রাজনৈতিক মহলের আলোচনা থেকে একথা স্পষ্ট যে কংগ্রেস নয়, অন্য কোনও বিরোধী দলের মধ্যে থেকেই এই পদটির জন্য প্রার্থীর নাম নির্ধারণ হবে। কংগ্রেস সূত্র থেকেও তেমনটাই ইঙ্গিত মিলছে।
[হেঁশেলে আগুন মধ্যবিত্তের, ফের বাড়ল রান্নার গ্যাসের দাম]
রাজ্যসভার ডেপুটি চেয়ারম্যানের পদটি যাতে কোনও ভাবেই বিজেপির দখলে না যায় তার জন্য তারা অন্য যে কোনও বিরোধী দলের থেকে প্রার্থী করতে রাজি রয়েছে বলেই কংগ্রেসের তরফ থেকে বিরোধী জোটের সব দলকে বার্তা দেওয়া হয়েছে। কংগ্রেস অবশ্য খুব উদার হয়ে এমনটা করছে তা নয়। সংখ্যার হিসাবে বিরোধী জোটের বাইরে রয়েছে এমন তিনটি দল-বিজেডি, টিআরএস এবং টিডিপি এবং আপ-এর মতো দলগুলি জানিয়ে দিয়েছে কংগ্রেসের কেউ প্রার্থী হলে তারা সমর্থন করবে না। আর এই তিন দলের সাংসদদের সম্মিলিত ভোট না পেলে বিরোধী জোটের পক্ষে ডেপুটি চেয়ারম্যানের পদটি বিজেপির দখলে চলে যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। তাই যেভাবেই হোক বিজেপিকে আটকাতে হবে–কংগ্রেস যে নীতি নিয়ে চলছে, তার প্রেক্ষিতেই এই পদে নিজেদের প্রার্থী দেওয়া থেকে বিরত থাকতে চাইছে রাহুল গান্ধীর দল। ১৮ জুলাই থেকে সংসদের বাদল অধিবেশন শুরু হচ্ছে। সেই সময়েই ডেপুটি চেয়ারম্যানের পদের নির্বাচন। তার আগে ১০ জুলাইয়ের মধ্যে বিরোধী জোটের নেতারা বৈঠক করে এই পদটির জন্য প্রার্থীর নাম চূড়ান্ত করে ফেলবেন বলেই মনে করা হচ্ছে।