সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গত আট মাসে মোট ৩ হাজার ১৮৬ বার যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করেছে পাকিস্তান (Pakistan)। গত সতেরো বছরের হিসেবে এটাই এক বছরে তাদের সর্বাধিক যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন (Ceasefire Violations)। ২০০৩ সালে হওয়া যুদ্ধবিরতি চুক্তি ভাঙার অভিযোগ পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বারবার উঠলেও গত ১ জানুয়ারি থেকে ৭ সেপ্টেম্বর সময়সীমায় তারা যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের সব পুরনো রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে।
শনিবার রাজ্যসভায় কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা প্রতিমন্ত্রী শ্রীপদ নায়েক জানিয়েছেন, গত জানুয়ারি থেকে আগস্টের মধ্যে জম্মুতে ২৪২ বার নিয়ন্ত্রণরেখায় গোলাগুলি চালিয়েছে পাকিস্তান। তবে ভারতও যে ‘যথাযথ প্রতিশোধ’ নিতে পেরেছে তা উল্লেখ করেন প্রতিমন্ত্রী। তিনি আরও জানান, সমস্ত লঙ্ঘনের কথা পাক কর্তৃপক্ষের কাছে যথাযথ প্রোটোকল মেনে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।
[আরও পড়ুন: অন্তিম যাত্রায় নৌবাহিনীর গর্বের রণতরী আইএএনএস বিরাট, ভেঙে ফেলা হবে গুজরাটের বন্দরে]
চিনের সঙ্গে প্রকৃত সীমান্তরেখায় উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। তারই মধ্যে কাশ্মীর সীমান্তে বারবার যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করছে পাকিস্তান। এবছর সীমান্তে পাকিস্তানের হামলায় আটজন ভারতীয় সেনা শহিদ হয়েছেন। আহত দু’জন। সেই সঙ্গে প্রাণ হারিয়েছেন বহু সাধারণ নাগরিকও। পাক গোলার আঘাতে ধ্বংস হয়েছে বিপুল সংখ্যক ঘরবাড়ি।
শুক্রবার সন্ধ্যাতেও গোলাগুলি চালিয়েছিল পাকিস্তান। সেই সময় নিয়ন্ত্রণরেখার কাছে বসবাসকারী এক মহিলা গুরুতর আহত হন। এর আগে উত্তর কাশ্মীরের গুরেজ সেক্টরেও তুমুল গুলির লড়াই চলে। তবে বছরের শুরুতে পাকিস্তানের যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের পরিমাণ যা ছিল, তা পরবর্তী সময়ে তুলনামূলক ভাবে কমে যায় করোনার দাপটে। এখনও পর্যন্ত ভারতের ৫৩ লক্ষ এবং পাকিস্তানের ৩ লক্ষ মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
[আরও পড়ুন: ‘পাড়ার আন্টির মতো দেখতে বলেই আমাকে নিয়ে এত রসিকতা’, বিরোধীদের তোপ নির্মলার]
গত বছর আগস্টে সংবিধানের ৩৭০ ধারা রদ করে জম্মু ও কাশ্মীরের স্পেশ্যাল স্টেটাস তুলে তাকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত করার পর থেকেই সীমান্তরেখায় পাকিস্তানের হামলার ঘটনা বৃদ্ধি পায়। এনআইএ জানিয়েছে, এ বছরের জুনের মধ্যেই প্রায় আড়াই হাজার বারের মতো যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করেছে পাকিস্তান। যেখানে ২০১৯ সালে সারা বছরে তারা যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করেছিল প্রায় ২ হাজার বার।