Advertisement
Advertisement

Breaking News

Pfizer Corona vaccine

প্রথম সংস্থা হিসেবে করোনার ভ্যাকসিন ভারতের বাজারে আনার অনুমতি চাইল ফাইজার!

ইতিমধ্যেই ব্রিটেন এবং বাহরিন এই ভ্যাকসিন বাজারজাত করার অনুমতি দিয়েছে।

Pfizer seeks emergency use authorisation for its Corona vaccine in India |Sangbad Pratidin
Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:December 6, 2020 10:54 am
  • Updated:December 6, 2020 1:36 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ব্রিটেন ইতিমধ্যেই সাধারণ মানুষের জন্য ফাইজারের ভ্যাকসিনকে ছাড়পত্র দিয়ে দিয়েছে। একইভাবে অনুমতি দিয়েছে বাহরিন। এবার ভারতের বাজারকে টার্গেট করছে ফাইজার (Pfizer)। এক সংবাদসংস্থা সুত্রের দাবি, এবার ভারতেও নিজেদের তৈরি করোনার ভ্যাকসিন বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহারের অনুমতি চেয়েছে এই মার্কিন সংস্থা। প্রথম সংস্থা হিসেবে DCGI-এর কাছে করোনা ভ্যাকসিন ব্যবহারের ছাড়পত্র চাইল তারা।

ভারতে অক্সফোর্ডের (Oxford) কোভিশিল্ড, রাশিয়ার স্পুটনিক ফাইভ (Sputnik V), বা ভারত বায়োটেকের কোভ্যাক্সিনের (Covaxine) ট্রায়াল শুরু হলেও, ফাইজারের ভ্যাকসিনের ট্রায়াল হয়নি। তাই গত বুধবার যখন ব্রিটেন এই ভ্যাকসিন ব্যবহারের ছাড়পত্র দিল, তখনও তা অদূর ভবিষ্যতে ভারতে আসার সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছিল না। কিন্তু শনিবার একপ্রকার সবাইকে চমকে দিয়ে ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়ার কাছে সরাসরি এই ভ্যাকসিনের বাণিজ্যিক ব্যবহারের অনুমতি চাইল ফাইজার। অন্তত এমনটাই দাবি এক সংবাদসংস্থা সুত্রের। নিজেদের আবেদনপত্রে ফাইজার জানিয়েছে,তারা ভারতে এই ভ্যাকসিন আমদানি, বিতরণ এবং বিক্রি করতে চায়। সেই সঙ্গে তাদের আরজি, ট্রায়াল ছাড়াই যাতে জরুরি ভিত্তিতে এই ভ্যাকসিন বিতরণ শুরু করা যায়, তা নিশ্চিত করুক সরকার।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ভ্যাকসিনের ট্রায়ালে অংশ নেওয়ার পরই করোনা আক্রান্ত হরিয়ানার স্বাস্থ্যমন্ত্রী অনিল ভিজ]

এখন বল সরকারের কোর্টে। সরকার অনুমতি দিলে এখন থেকেই সরাসরি ভারতের বাজারে পাওয়া যাবে এই ভ্যাকসিন (Corona Vaccine)। কিন্তু প্রশ্ন হল, তা কতটা কার্যকর হবে? ফাইজার আগেই দাবি করেছে, তাদের ভ্যাকসিন ৯৫ শতাংশ পর্যন্ত কার্যকর। শেষ দফা ট্রায়ালের চূড়ান্ত বিশ্লেষণের পর কোম্পানির দাবি ছিল, তাদের তৈরি করোনা ভ্যাকসিনের কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও নেই। ফাইজারের সেই দাবির উপর ভিত্তি করেই ব্রিটেন এবং বাহরিন সরকার এই ভ্যাকসিনটি বাজারজাত করার অনুমতি দিয়েছে। এখন দেখার ভারত সরকার সে পথে হাঁটে কিনা। কারণ, ভারতে এই ভ্যাকসিনের এখনও কোনও ট্রায়াল হয়নি। তাই সরাসরি বাজারে ভ্যাকসিন বিক্রির অনুমতি দেওয়াটা ঝুঁকিপূর্ণ। তাছাড়া, ভারত সরকার আশায় বুক বেঁধেছে অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন নিয়ে। সেরামের তত্ত্বাবধানে এই ভ্যাকসিন ট্রায়ালে ভাল ফলের ইঙ্গিত দিয়েছে। সম্ভবত আগামী সপ্তাহেই সেরামও নিজেদের ভ্যাকসিন বাজারজাত করার অনুমতি চাইবে। সেক্ষেত্রে সরকার আগামী সপ্তাহ পর্যন্ত অপেক্ষা করে, নাকি এখনই ফাইজারকে ছাড়পত্র দেয়, সেটাই এখন দেখার।

Advertisement

[আরও পড়ুন: দেশে করোনায় মৃতের সংখ্যা পেরল ১ লক্ষ ৪০ হাজার, স্বস্তি দিয়ে কমছে অ্যাকটিভ কেস]

প্রসঙ্গত, ফাইজারের এই ভ্যাকসিন ভারতের বাজারের নিরিখে বেশ দামি। এক একটি ডোজের দাম, ২০ ডলার। অর্থাৎ প্রায় দেড় হাজার টাকা। যা সরকারের পক্ষে বিনামুল্যে বিতরণ সম্ভব নয়। তাই এই ভ্যাকসিন ব্যবহারের ছাড়পত্র দিলেও সাধারণ মানুষকে তা কিনতে হবে গাঁটের কড়ি খরচ করে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ