Advertisement
Advertisement
নেতাজি

নেতাজির ‘মৃত্যু দিবসে’ শ্রদ্ধা জানিয়ে বিতর্কে পিআইবি, রহস্য উন্মোচনে সরব মমতা

নেতাজির অন্তিম জীবন সম্পর্কে জানার অধিকার আছে দেশবাসীর, টুইটারে সরব মুখ্যমন্ত্রী৷

PIB raises controversy to mark today as Netaji's 'death anniversary'
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:August 18, 2019 5:26 pm
  • Updated:August 18, 2019 5:27 pm  

ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: নেতাজি অন্তর্ধান রহস্যের প্রায় সাড়ে সাত দশক পেরিয়ে গেলেও রহস্য অধরাই৷ আর আজকের দিনে এই ইস্যুকে সামনে রেখেই সুর চড়ালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ টুইটারে তাঁর বক্তব্য, দেশের এই বীর সন্তানের অন্তিম জীবন সম্পর্কে জানার অধিকার রয়েছে সকলেরই৷

[আরও পড়ুন: প্রেম প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় কিশোরীকে খুন, অভিযোগ নিতে অস্বীকার পুলিশের]

১৮ আগস্ট, ১৯৪৫৷ এই দিনেই তাইওয়ানের তাইহোকু বিমানবন্দরে শেষবারের মতো দেখা গিয়েছিল নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুকে৷ তারপর আর তাঁর কোনও খোঁজ মেলেনি৷ সরকারি সূত্রে খবর রটে যায়, তাইহোকুতে বিমান দুর্ঘটনায় প্রয়াত হয়েছেন নেতাজি৷ কিন্তু এত বছর পরও দুর্ঘটনায় মৃত্যুর পক্ষে কোনও তথ্যপ্রমাণ পেশ করতে পারেনি কেউই৷ গবেষকদের একাংশের মত, বিমানবন্দর থেকেই গা ঢাকা দিয়ে অন্যত্র পালিয়ে দেশ স্বাধীন করার নেপথ্যে কাজ করে গিয়েছেন তিনি৷ কোথাও কোথাও আবার ছদ্মবেশি নেতাজিকেও দেখা গিয়েছে বলে দাবি ইতিহাসবিদদের একাংশের৷ উত্তরপ্রদেশের ফৈজাবাদের ‘গুমনামী বাবা’-র আড়ালে আসলে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বোসই, এমন গুঞ্জন তো আছেই৷ এই বিশ্বাস আঁকড়ে এখনও অনেকে আছেন৷

Advertisement

[আরও পড়ুন: বাড়িতে ঢুকে গুলি করে সাংবাদিক খুন উত্তরপ্রদেশে, নিহত ভাইও]

এই আবহেই বিতর্ক আরও উসকে দিল প্রেস ইন্ডিয়া ব্যুরো বা পিআইবি-র একটি টুইট৷ ১৮আগস্ট, ১৯৪৫-কে নেতাজির মৃত্যুদিন হিসেবে চিহ্নিত করে শ্রদ্ধা জানিয়ে বিতর্কে জড়াল৷ টুইটারে নেতাজিকে শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে কর্তৃপক্ষ লিখেছে, মৃত্যুদিবসে মহান স্বাধীনতা সংগ্রামী নেতাজি সুভাষচন্দ্র বোসকে গভীর শ্রদ্ধাজ্ঞাপন৷    

ধারণা কিংবা গুঞ্জন যাইই হোক, নেতাজির শেষ জীবন রহস্যে মোড়াই৷ মোদি সরকার ক্ষমতায় আসার পর কেন্দ্রের তরফে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের অধীনে থাকা নেতাজি সংক্রান্ত একাধিক ফাইল প্রকাশ্যে এসেছে৷ রাজ্য সরকারও তাদের অধীনে থাকা ফাইলগুলি প্রকাশ করেছে৷ তবে সেখানে কোথাও ১৯৪৫- এর ১৮ আগস্ট সম্পর্কে কোনও তথ্য নেই৷ আর এনিয়েই ফের সরব হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ টুইটারে তিনি লেখেন, ‘আজকের দিনেই ১৯৪৫ সালে নেতাজি তাইওয়ানের তাইহোকু বিমানবন্দর থেকে নিখোঁজ হন। আমরা আজও জানি না এরপর কী হয়েছে। দেশমাতৃকার এই বীর সন্তানের বিষয়ে জানার অধিকার সকল দেশবাসীর আছে।’ ফলে অন্তর্ধান দিবসেও এই মহান দেশপ্রেমিককে নিয়ে বিতর্ক জিইয়ে রইল৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement