সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনার রক্তচক্ষু ক্রমশ তীব্র হচ্ছে দেশে। সেই আতঙ্কের মধ্যেই এগিয়ে আসছে বোর্ডের পরীক্ষাও। এই পরিস্থিতিতে পড়ুয়া, অভিভাবক ও শিক্ষকদের সঙ্গে বুধবার সন্ধেয় ‘পরীক্ষা পে চর্চা’য় (Pariksha pe charcha) মিলিত হলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর এই নিয়ে চতুর্থবার এই ধরনের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতে দেখা গেল তাঁকে। তবে এবারের অনুষ্ঠান ছিল ‘ভারচুয়াল’। সকলের প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার মাধ্যমে পরীক্ষা ভীতি কমিয়ে ছাত্রছাত্রীদের আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর দিকে জোর দিলেন প্রধানমন্ত্রী। মনে করিয়ে দিলেন, পরীক্ষা মোটেই কোনও জীবনমরণ সমস্যা নয়। ঠান্ডা মাথায় এর মোকাবিলা করা উচিত।
এদিনের অনুষ্ঠানে অন্ধ্রপ্রদেশের এক ছাত্রী পল্লবী প্রধানমন্ত্রীকে প্রশ্ন করেন, সারা বছর পড়াশোনা করার পরেও কেন পরীক্ষার সময় এমন ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হয়ে যায়? এর উত্তরে প্রধানমন্ত্রীকে বলতে শোনা যায়, ”তোমাদের ভয় পরীক্ষা নিয়ে নয়। ভয়টা অন্য কিছুর। কিন্তু সেটা কীসের? আসলে তোমাদের চারপাশে আসলে এমন একটা পরিবেশ তৈরি করে দেওয়া হয়, যেন পরীক্ষাই সব কিছু। এটাই জীবন। ফলে আমরা প্রয়োজনীয়তার থেকেও বেশি ‘ওভার কনশাস’ হয়ে পড়ি। বেশি বেশি ভাবতে শুরু করে দিই আমরা। আমি মনে করি জীবনে শেষ বলে কিছু নেই।”
अपने बच्चे के साथ उसकी generation की बातों में, उतनी ही दिलचस्पी दिखाइएगा, आप उसके आनंद में शामिल होंगे, तो आप देखिएगा generation gap कैसे खतम हो जाती है। #PPC2021 pic.twitter.com/zM4LLLdEZ9
— PMO India (@PMOIndia) April 7, 2021
[আরও পড়ুন: ‘নারায়ণী ব্যাটেলিয়ান নিয়ে মোদি মিথ্যা বলছেন’, আরটিআই তথ্য তুলে তীব্র আক্রমণ মমতার]
এরই পাশাপাশি অভিভাবকদের উদ্দেশে তিনি অনুরোধ করেন, তাঁরা যেন পড়াশোনার জন্য বাচ্চাদের উপরে অহেতুক চাপ না দেন। যদি বাহ্যিক চাপ কমে যায়, তাহলে পরীক্ষার চাপ অনুভূতই হবে না বলে মত প্রধানমন্ত্রীর। তাঁর মতে, বাচ্চারা যদি বাড়িতে আতঙ্কমুক্ত থাকতে পারে তাহলেই তাদের আত্মবিশ্বাস দ্রুত বাড়বে।
পাশাপাশি পড়ুয়াদের অবসর সময়ের বিষয়ে কথা বলার সময় নিজের অবসর যাপনের কথাও উঠে আসে প্রধানমন্ত্রীর কথায়। তিনি বলেন, অবসর একটা সৌভাগ্যের মতো। তা না পেলে মানুষের জীবন হয়ে যায় রোবটের মতো। প্রধানমন্ত্রীর কথায়, ”যদি দোলনায় দুলতে ইচ্ছে করে দোলো। আমার তো অবসরে দোলনায় দুলতে দারুণ লাগে। আমার দোলনা ভাল লাগে। এতে আমি খুব আনন্দ পাই।”
Coronavirus forced social distancing, but it has also strengthened emotional bonding in families. #PPC2021 pic.twitter.com/R1yit0x2mA
— PMO India (@PMOIndia) April 7, 2021
[আরও পড়ুন: ভ্যাকসিন নিলেই মিলবে সোনার গয়না! টিকাকরণে উৎসাহ বাড়াতে অভিনব উদ্যোগ গুজরাটে]
সেই সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী থাকার সময় কিংবা এখন দেশের প্রধানমন্ত্রী হয়ে কঠিন বিষয়কে কেমন করে মোকাবিলা করেন সেই অভিজ্ঞতাও শেয়ার করতে দেখা যায় প্রধানমন্ত্রীকে। তিনি বলেন, ”আমি যখন মুখ্যমন্ত্রী ছিলাম, যখন প্রধানমন্ত্রী হলাম তখন আমাকে অনেক কিছু পড়তে হয়। অনেক কিছু শিখতে হয়। অনেকের থেকে শিখতে হয়। বুঝতে হয়। যখন সকালে আমার দিন শুরু হয়, তখন কঠিন বিষয়গুলি দিয়েই শুরু করি। কঠিন থেকে কঠিনতর বহু বিষয় নিয়ে আমার অফিসাররা আমার কাছে আসেন। ওঁরা জানেন তখন আমার মুড অন্যরকম থাকে। সেই সময় আমি সব বিষয়কে দ্রুত বুঝে ফেলি। সিদ্ধান্ত নেওয়ার দিকে এগিয়ে যাই।”