সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: স্বাধীনতা সংগ্রামী লালা লাজপত রাইয়ের (Lala Lajpat Rai) জন্মদিনে তাঁকে শুভেচ্ছা জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। ১৮৬৫ সালে আজকের দিনেই জন্ম হয়েছিল ‘লাল-বাল-পাল’ ত্রয়ীর অন্যতম এই বিপ্লবীর। বৃহস্পতিবার সকালে প্রধানমন্ত্রী তাঁর টুইটে প্রণাম জানান ‘পাঞ্জাব কেশরী’কে। জানান, লালা লাজপতের আদর্শ আজও অনুপ্রেরণা জোগায় দেশবাসীকে।
টুইটের শুরুতে তিনি হিন্দিতে লেখেন, ”মহান স্বাধীনতা যোদ্ধা পাঞ্জাব কেশরী লালা লাজরত রাইকে তাঁর জন্মজয়ন্তীকে কোটি কোটি প্রণাম জানাই।” বাকি অংশে ইংরেজিতে লেখেন, ”ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে তাঁর অবদান চিরস্মরণীয় এবং তা প্রজন্মের পর প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করবে।” ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল লালা লাজপতের। ১৯২০ সালে জাতীয় কংগ্রেসের কলকাতা অধিবেশনে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি।
[আরও পড়ুন: শিক্ষক-পুলিশ সংঘর্ষে রণক্ষেত্র আগরতলা, জারি ১৪৪ ধারা]
महान स्वतंत्रता सेनानी पंजाब केसरी लाला लाजपत राय को उनकी जन्म-जयंती पर कोटि-कोटि नमन।
Remembering the great Lala Lajpat Rai Ji on his Jayanti. His contribution to India’s freedom struggle is indelible and inspires people across generations.
— Narendra Modi (@narendramodi) January 28, 2021
আর্য সমাজের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত থাকাকালীন ‘আর্য গেজেট’ নামে পত্রিকা প্রকাশ করেছিলেন লালা লাজপত রাই। লাহোরে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন ন্যাশনাল কলেজ। এরই পাশাপাশি ব্যাংকার হিসেবেও তাঁর অবিস্মরণীয় অবদান ভারতের প্রথম স্বদেশি ব্যাংকের প্রতিষ্ঠা। ‘পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাংক’-এর ভিত্তিপ্রস্তর তাঁর হাতেই হয়েছিল।
[আরও পড়ুন: ফাঁসি হোক লালকেল্লার ঘটনায় জড়িত কৃষক নেতাদের, অমিত শাহকে চিঠি বিজেপি বিধায়কের]
১৯২৮ সালে সাইমন কমিশন ভারতে এলে প্রতিবাদ করতে গিয়ে পুলিশের লাঠিচার্জে গুরুতর আহত হন তিনি। লালা জিয়ার নেতৃত্বে কমিশনের বিরুদ্ধে কালো পতাকা দেখানো হয়েছিল। এরপরই ব্রিটিশ পুলিশ সেই শান্তিপূর্ণ মিছিলের উপরে লাঠিচার্জ করতে শুরু করে। লালা লাজপতের চোট এতটাই গুরুতর ছিল যে, ঘটনার তিন সপ্তাহের মধ্যেই মৃত্যু হয় তাঁর। মহান এই বিপ্লবীর সঙ্গে উচ্চারিত হত আরও দু’জনের নাম। বাল গঙ্গাধর তিলক ও বিপিনচন্দ্র পাল। একযোগে ‘লাল-বাল-পাল’ বলে অভিহিত করা হত তাঁদের।