Advertisement
Advertisement
মোদির চায়ের দোকান

মোদির চায়ের দোকান হবে আন্তর্জাতিক মানের পর্যটনস্থল! নয়া উদ্যোগ কেন্দ্রের

প্রধানমন্ত্রীর ছোটবেলার স্মৃতিবিজড়িত স্থানের আধুনীকিকরণ করা হবে।

PM Narendra Modi's tea shop to be turned into tourist spot
Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:September 2, 2019 5:22 pm
  • Updated:September 2, 2019 5:27 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দাবি করেন, তাঁর ছোটবেলা কেটেছে চরম দারিদ্রে। ছোটবেলায় ভাদনগর স্টেশনে তাঁর চা বিক্রির গল্পও অনেকবার শোনা গিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সেই চায়ের দোকানকে এবার পর্যটনস্থলে পরিণত করার উদ্যোগ নিল কেন্দ্র।সম্প্রতি কেন্দ্রীয় পর্যটন মন্ত্রকের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী প্রহ্লাদ প্যাটেল ভাদনগর স্টেশনের ধারের সেই চায়ের দোকানটির বর্তমান পরিস্থিতি সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে যান। তারপরই তিনি নির্দেশ দিয়েছেন, দোকানটির মূল কাঠামো পরিবর্তন না করে, তার সংস্কার ও আধুনিকিকরণ করতে হবে। এই খাতে অর্থ বরাদ্দ করবে কেন্দ্রীয় সরকারের পর্যটন দপ্তর। পুরো দোকানটিকে কাচে মুড়ে ফেলা হবে। গোটা এলাকার পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা হবে।

[আরও পড়ুন:  ‘মুসলিম তাড়াতে চেয়ে এনআরসির পরিকল্পনা বিজেপির কাছে ব্যুমেরাং’, মন্তব্য তরুণ গগৈর]

মোদির দাবি অনুযায়ী, ছোটবেলায় এই ভাদনগর স্টেশনেই বাবার সঙ্গে চা বিক্রি করতেন তিনি। পরিবারের আর্থিক স্বচ্ছলতার দায় তখন ছিল তাঁর কাধে। ভাদনগরের সেই ছোট্ট নরেন আজ বিশ্ববন্দিত নেতায় পরিণত হয়েছে। তাঁর কাঁধে এখন গোটা দেশের দায়িত্ব। স্বাভাবিকভাবেই মোদির ছোটবেলার সেই স্মৃতির প্রতি পর্যটকদের আকর্ষণ থাকবে। যা লুফে নিতে চাইছে পর্যটন মন্ত্রক। এই এলাকার উন্নতি সাধনের মাধ্যমে চায়ের দোকানটিকে আন্তর্জাতিক মানের পর্যটনস্থল হিসেবে তুলে ধরার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। কেন্দ্র চাইছে, মোদির ছোটবেলা থেকে বেড়ে ওঠা পর্যন্ত সমস্ত স্মৃতিবিজড়িত জায়গাগুলিকেই পর্যটনস্থল হিসেবে তুলে ধরতে। সেই উদ্দেশ্যে বছর দুই আগে এই ভাদনগর স্টেশনের সংস্কারও করা হয়েছে। ভাদনগরের উন্নয়নে প্রায় ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়।

Advertisement

tea

Advertisement

[আরও পড়ুন: মোদির মুকুটে নতুন পালক, আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাচ্ছে স্বচ্ছ ভারত অভিযান]

উল্লেখ্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ২০১৪ নির্বাচনের আগে বারবার নিজেকে চাওয়ালা হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন। বলা বাহুল্য, এই চাওয়ালা ভাবমূর্তি প্রধানমন্ত্রীকে নির্বাচনে সহানুভূতি পেতে সাহায্য করে। যদিও, বিরোধীরা মোদির চা বিক্রি নিয়ে বারবার প্রশ্ন তুলেছে। বিশেষ করে বামপন্থী নেতারা মোদি আদৌ চা বেচেছেন কিনা তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন একাধিকবার। সে যাই হোক, এবার প্রধানমন্ত্রীর চায়ের দোকানও স্থান পেতে চলেছে ভারতের পর্যটন মানটিত্রে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ