সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দূর থেকে প্রবল গতিতে ছুটে এল একটি গাড়ি৷ নিরাপত্তার তোয়াক্কা না করেই রাষ্ট্রপতি ভবনের সামনে স্টান্ট দেখাল সেটি৷ এরপর আরও গতি বাড়িয়ে চম্পট দিল৷ এবং নিরাপত্তারক্ষীরা দেখেও কিছু করতে পারলেন না৷ শনিবার ভোরে এমনই ভয়ংকর ঘটনার সাক্ষী থাকলেন নয়াদিল্লির বিজয় চকে দায়িত্বে থাকা নিরাপত্তারক্ষীরা৷ গাড়িটির খোঁজ করতে গিয়ে পুলিশকর্মীরা জানতে পারলেন, সেটির মালিকের নাম সর্বেশ সিন্ধু৷ তিনি আর কেউ নন, হরিয়ানার অর্থমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অভিমন্যুর ভাইপো৷ নিরাপত্তা ভেঙে বিজয় চকের মতো অতি স্পর্শকাতর এলাকায় বেপরোয়া ভাবে গাড়ি চালানোয়, ইতিমধ্যে গাড়ি মালিকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ৷ রুজু হয়েছে আর্থিক ক্ষতিপূরণের মামলাও৷
[ আরও পড়ুন: অমরিন্দরের সঙ্গে বিবাদের জের, অবশেষে মন্ত্রিত্ব থেকে ইস্তফা সিধুর]
রাষ্ট্রপতি ভবনের সামনের রাস্তা বিজয় চকের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ কর্মীরা জানিয়েছে, শনিবার ভোট চারটে নাগাদ হঠাৎই নিসান কোম্পানির একটি বহুমূল্য সাদা গাড়ি দূর থেকে প্রবল গতিতে ছুটে আসতে দেখেন তাঁরা৷ রাষ্ট্রপতি ভবনের সামনের পুলিশ কিয়স্কের চারপাশে বেশ কয়েকবার চক্কর কাটে গাড়িটি৷ চালক সেখানে স্টান্ট দেখানোর চেষ্টা করেন৷ এবং এরপর আরও গতি বাড়িয়ে সাঁই করে এলাকা থেকে চম্পট দেয় গাড়িটি৷ তবে ওই এলাকার সিসিটিভিতে ধরা পড়ে যায় গাড়ির নম্বর প্লেটটি৷ এবং সেই নম্বর প্লেটের সূত্র ধরেই গাড়িটির খোঁজ শুরু করেন পুলিশ কর্মীরা৷ বিভিন্ন এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে সেটির হদিশ পান তদন্তকারীরা৷
কিন্তু এরপরই সামনে আসে ব্যক্তির পরিচয়৷ জানা যায়, হরিয়ানার অর্থমন্ত্রীর ভাইপো সর্বেশ সিন্ধু’ই ওই সময় গাড়িটি চালাচ্ছিলেন৷ নিশ্চিন্তের বিষয় হল এই যে, রাজনৈতিক যোগ দেখেও দোষীর বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণে পিছপা হয়নি পুলিশ৷ তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের হয় কঠোর মামলা৷ দায়ের হয়েছে আর্থিক ক্ষতিপূরণের মামলাও৷ বিষয়টি যথেষ্ট আশঙ্কাজনক বলে মনে করছেন পুলিশ কর্মীরা৷ কারণ, শনিবার ভোরে যে স্থানে ঘটনাটি ঘটেছে, তার থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে রয়েছে রাষ্ট্রপতি ভবন, প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর ও সাংসদ৷ এমন অতি স্পর্শকাতর একটি এলাকায় কীভাবে নিরাপত্তারক্ষীদের নজর এড়িয়ে গাড়িটি প্রবেশ করল, তা নিয়ে উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন৷
[ আরও পড়ুন: ফের গণপিটুনিতে প্রাণহানি রাজস্থানে, এবার উন্মত্ত জনতা মারে মৃত পুলিশকর্মী ]