২০ অগ্রহায়ণ  ১৪৩০  রবিবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৩ 

READ IN APP

Advertisement

‘সার্জিকাল স্ট্রাইক নিয়ে বাড়াবাড়ি রকমের প্রচার করেছেন মোদি’, আত্মজীবনীতে কটাক্ষ প্রণববাবুর

Published by: Paramita Paul |    Posted: January 6, 2021 5:47 pm|    Updated: January 6, 2021 6:55 pm

Pranab Mukherjee writes in book that Modi over-publicised surgical strikes | Sangbad Pratidin

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আগামী মাসেই প্রকাশিত হবে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের আত্মজীবনী। তার আগে ফের চর্চায় বইটি। আত্মজীবনীর শেষখণ্ডে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) বিদেশ নীতির সমালোচনা করেছেন তিনি। সার্জিকাল স্ট্রাইক (Surgical Strike) নিয়ে অত্যধিক প্রচার করেছিলেন বলেও কটাক্ষ করেছেন তিনি।

আত্মজীবনীর শেষখণ্ডে সার্জিকাল স্ট্রাইক সম্পর্কে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি লিখেছেন, পাকিস্তানি সেনার আগ্রাসী পদক্ষেপের জবাব দিতে গিয়ে মাঝেমধ্যেই এ ধরনের পদক্ষেপ করে ভারতীয় সেনাবাহিনী। প্রণববাবুর কথায়, “২০১৬ সালের সার্জিকাল স্ট্রাইক নিয়ে অত্যধিক মাতামাতি করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। বিষয়টা এত প্রচার করে ভারতের কোনও লাভ হয়নি।”

[আরও পড়ুন : অতিমারীতে বন্ধ থাকুক প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠান, শশী থারুরের প্রস্তাবে পালটা তোপ কেন্দ্রের]

২০১৬ সালে আচমকাই পাকিস্তানের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের বাড়িতে হাজির হয়েছিলেন মোদি। এই সফরকে ‘অযৌক্তিক ও গায়ে পড়া’ বলে আত্মজীবনীতে উল্লেখ করেছেন প্রণববাবু। এ প্রসঙ্গে তিনি লিখেছেন, “সেই সময় দু’দেশের সম্পর্কের নিরিখে মোদির পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর বাড়িতে যাওয়া একেবারে অযৌক্তিক। উল্লেখ্য, এই সফরের কিছুদিন পরেই পাঠানকোট বায়ুসেনা ঘাঁটিতে জঙ্গি হামলা হয়।”

শুধু তাই নয়, বিভিন্ন রাষ্ট্রনায়কদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর অযাচিত বন্ধুত্বও না পসন্দ ছিল তৎকালীন রাষ্ট্রপতির। এ বিষয়ে প্রণববাবু লিখেছেন,”রাষ্ট্রনেতাদের ব্যক্তিগত বন্ধুত্বের ঘোরবিরোধী আমি, কারণ দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের পথে তা প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে। মোদি এ ধরনের সম্পর্ক নিয়ে অযথা বাড়াবাড়ি করেছেন।” আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে এই ধরনের বন্ধুত্বের কোনও প্রয়োজন আছে বলে মনে করতেন না প্রণববাবু।

[আরও পড়ুন : লাদাখ সীমান্তে ‘অপ্রচলিত অস্ত্র’ ব্যবহার চিনের, জানাল প্রতিরক্ষামন্ত্রক]

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিদেশনীতি নিয়ে প্রণববাবু লিখেছেন, “মোদি যখন প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন সেই সময় বিদেশনীতি নিয়ে তাঁর কোনও অভিজ্ঞতাই ছিল না। তাই তিনি এমন অনেক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যা তাঁর পূর্বসূরিরা ভাবতেও পারেননি। ২০১৪-য় নওয়াজ শরিফ-সহ সার্কের অন্তর্ভুক্ত এবং অন্যান্য দেশের রাষ্ট্রনেতাদের নিজের শপথগ্রহণে ডেকেছিলেন মোদি। এই সিদ্ধান্তে স্তম্ভিত হয়ে যান কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞরাও।”

Sangbad Pratidin News App: খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে লাইক করুন ফেসবুকে ও ফলো করুন টুইটারে