Advertisement
Advertisement

Breaking News

অ্যাম্বুল্যান্সের খোঁজে ১২ কিমি পথ কাঁধে করে প্রসূতি স্ত্রীকে বইলেন স্বামী

রাস্তায় মৃত্যু সদ্যোজাতের৷

Pregnant woman carried by her husband to nearest ambulance
Published by: Sayani Sen
  • Posted:July 31, 2018 4:01 pm
  • Updated:July 31, 2018 4:01 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যন্ত্রণায় ছটফট করছেন সন্তানসম্ভবা স্ত্রী৷ জঙ্গলের ভিতর বাড়ি হওয়ায় অমিল অ্যাম্বুল্যান্স৷ বাধ্য হয়ে কাঁধে করে স্ত্রীকে নিয়ে জঙ্গলের ভিতর দিয়ে প্রায় ১২ কিলোমিটার রাস্তা হেঁটে পার করলেন এক ব্যক্তি৷ রাস্তাতেই শিশুপুত্রের জন্ম দেন ওই মহিলা৷ কিন্তু ঠিক সময়ে হাসপাতালে পৌঁছতে না পারায় সদ্যোজাতকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি৷ রাস্তাতেই মারা গেল সন্তান৷ মহিলার অবস্থাও যথেষ্ট আশঙ্কাজনক৷ মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে অন্ধ্রপ্রদেশের বিজয়নগরমে৷

[পাঁচ প্রেমিকাকে খুশি করতে হাত সাফাই, পুলিশের জালে প্রেমিক-চোর]

অন্ধ্রপ্রদেশের প্রত্যন্ত এলাকা বিজয়নগরম৷ কয়েকটি আদিবাসী পরিবারের বাস৷ উন্নয়নের আলো ওই এলাকায় এক্কেবারেই পৌঁছায়নি তা বলাই যায়৷ বিদ্যুতের বন্দোবস্ত রাস্তাঘাট সবেতেই অনুন্নয়নের ছাপ স্পষ্ট৷ স্বাস্থ্য পরিষেবাও ঠিক মতো পাননা বিজয়নগরমের বাসিন্দারা৷ স্বাস্থ্যকেন্দ্র আছে তো চিকিৎসক নেই আবার চিকিৎসক আছে তো স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পরিকাঠামো নেই৷  

Advertisement

[সুরক্ষার তাগিদ, দূরপাল্লার ট্রেনে গোলাপি হচ্ছে মহিলা কামরা]

ওই এলাকারই বাসিন্দা ছিলেন বছর বাইশের জিন্দাম্মা৷ দুটি সন্তানও রয়েছে তাঁর৷ আট মাসের গর্ভবতী মহিলা আচমকাই প্রসব যন্ত্রণা অনুভব করেন৷ তাই বাধ্য হয়ে বাঁশের সঙ্গে শাড়ি ও দড়ি দিয়ে স্ত্রীকে বেঁধে কাঁধে নিয়ে হাসপাতালের উদ্দেশে রওনা হন জিন্নাম্মার স্বামী৷ প্রতিবেশীরাও সাহায্য করেন ওই দম্পতিকে৷ রাস্তাতেই পুত্রসন্তানের জন্ম দিলেও, শেষরক্ষা হয়নি৷ জিনাম্মার পরিজনদের দাবি, সঠিক সময়ে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া গেলে, সদ্যোজাতকে বাঁচানো সম্ভব হত৷ কাঁধে করে ১২ কিলোমিটার রাস্তা এভাবেই স্ত্রীকে নিয়ে যান মহিলার স্বামী৷ অত্যধিক রক্তক্ষরণের সমস্যায় ভুগছেন জিনাম্মা৷ সংকটজনক অবস্থায় অবশেষে হাসপাতালে ভরতি করানো হয়েছে তাঁকে৷

Advertisement

[সংসদে রূপান্তরকামীদের নিয়ে ঠাট্টা, ক্ষমা চাইলেন মানেকা গান্ধী]

বিজয়নগরম এলাকার বাসিন্দাদের দাবি, এ ছবি নতুন নয়৷ বেহাল যোগাযোগ ব্যবস্থার জন্য অ্যাম্বুল্যান্স না পেয়ে এলাকার বেশীরভাগ প্রসূতিকেই এই সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়৷ স্বাস্থ্যব্যবস্থার বেহাল পরিকাঠামোতেও বিপাকে পরতে হয় তাঁদের৷ থেকে যায় প্রাণের ঝুঁকিও৷ কখনও মৃত্যু হয় নবজাতকের আবার কখনও বা মারা যান প্রসূতি৷ কিন্তু তাতেও প্রশাসনিক কর্তাব্যক্তিদের হুঁশ ফিরছে না বলে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন স্থানীয়রা৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ