সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনার মারে থমকে শিক্ষাব্যবস্থা। মার্চের গোড়া থেকেই তালা ঝুলেছে স্কুলের দরজায়। কিন্তু ফি নিতে মোটেই পিছপা নয় স্কুলগুলি (School)। বরং বেশকিছু স্কুলের বিরুদ্ধে ফি নেওয়ার জন্য পড়ুয়াদের উপর চাপ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। আর সেই চাপেই দশম শ্রেণির এক পড়ুয়া (Student) আত্মঘাতী হয়েছে বলে অভিযোগ। মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরের ঘটনা।
সোমবার রাতে ইন্দোরের (Indore) মহালক্ষ্মী নগরে এক পনেরো বছরের কিশোরের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। বেসরকারি স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্রের নাম হরেন্দ্র সিং গুজ্জর। সে তাঁর জামাইবাবুর সঙ্গে থাকত। তাঁর আদিবাড়ি মোরেনায়। হরেন্দ্রর মৃত্যু নিয়ে গুরুতর অভিযোগ করেছেন তাঁর জামাইবাবু দিলীপ সিং গুজ্জর। তাঁর কথায়, হরেন্দ্র যে স্কুলে পড়ত, সেই স্কুল কর্তৃপক্ষ বকেয়া ফি মিটিয়ে দেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছিল। আর তা নিয়ে চাপে ছিল হরেন্দ্র। সেই মানসিক চাপ সামাল দিতে না পেরেই সে আত্মহত্যা করেছে বলে অভিযোগ দিলীপ সিং গুজ্জরের।
[আরও পড়ুন : খামখেয়ালি আবহাওয়াতেও ২২ হাজার ২২২ ফুট উঁচু দুর্গম শৃঙ্গ জয়, নজির ITBP জওয়ানদের]
তাঁর এই অভিযোগ নিয়ে অবশ্য পুলিশের তরফে কিছু জানানো হয়নি। লুসুদিয়া পুলিশ স্টেশনের সাব ইন্সপেক্টর ধর্মেন্দ্র সরগড়িয়া জানিয়েছেন, এটা আত্মহত্যার ঘটনা। তবে কোনও সুইসাইড নোট উদ্ধার হয়নি।” অভিযোগের বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, “দিলীপ সিং গুজ্জরের স্টেটমেন্ট রেকর্ড করা হবে। স্কুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠলে তা তদন্ত করে দেখা হবে।”
প্রসঙ্গত, মধ্যপ্রদেশে (Madhya Pradesh) বেসরকারি স্কুলগুলির বিরুদ্ধে জোর করে ফি আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। মার্চের গোড়ার দিক থেকেই দেশজুড়ে লকডাউন চলছে। ফলে অনেকেই কাজ হারিয়েছেন। ফলে স্কুলের বেতন মেটাতে পারছেন তাঁরা। এ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহানের কনভয়ের সামনে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন এক মহিলা। সে সময় বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তারপরেও এমন মর্মান্তিক ঘটনা, বিজেপিশাসিত সে রাজ্যের আসল ছবিটা তুলে ধরছে বলেই সরব হয়েছে বিরোধীরা।