Advertisement
Advertisement
সাধ্বী প্রজ্ঞা

‘বাবরি ধ্বংসের কোনও অনুশোচনা নেই’, আবারও বিস্ফোরক সাধ্বী প্রজ্ঞা

ভোপালের বিজেপি প্রার্থীকে নোটিস পাঠাল কমিশন৷

'proud of demolishing Babri Masjid', Sadhvi Pragya claims
Published by: Tanujit Das
  • Posted:April 21, 2019 11:45 am
  • Updated:April 23, 2019 5:54 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মালেগাঁও বিস্ফোরণে অভিযুক্ত সাধ্বী প্রজ্ঞাকে প্রার্থী করার পর থেকে সমালোচনা যেন কোনও মতেই পিছু ছাড়ছে না বিজেপির৷ মুম্বই হামলার শহিদ হেমন্ত কারকারেকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে আগেই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুকে উঠে এসেছিলেন তিনি৷ ক্ষমাও চেয়েছিলেন৷ কিন্তু তারপরেও থামার কোনও লক্ষণ নেই ভোপালের বিজেপি প্রার্থীর৷ এবার তিনি নিশানা করলেন বাবরি মসজিদকে৷ স্পষ্ট ভাষায় জানালেন, ‘‘বাবরি মসজিদ ধ্বংস করার জন্য আমার মনে কোনও অনুশোচনা নেই৷’’

[ আরও পড়ুন: ‘ন্যায়’-এর হোর্ডিংয়ে নিয়মভঙ্গ, রাহুলকে নোটিস কমিশনের  ]

Advertisement

শনিবার একটি বেসরকারি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বিতর্কিত প্রজ্ঞা বলেন, ‘‘বাবরি মসজিদ গুঁড়িয়ে দিতেই আমরা ওটার মাথায় উঠেছিলাম। বাবরি ধ্বংসের জন্য আমরা কেন অনুশোচনা করব? সত্যি বলতে কি আমার এতে গর্ব হয়৷ ওখানে কিছু বাড়তি অংশ পড়ে ছিল৷ আমরা সেটা পরিষ্কার করেছি৷ বরং এটা আমাদের দেশের সম্মান বাড়িয়েছে৷ আমরা ওখানে প্রভু রামের বড় মন্দির বানাব৷’’ যদিও এই মন্তব্যের পরই প্রজ্ঞার বিরুদ্ধে নোটিস জারি করেছে নির্বাচন কমিশন৷

Advertisement

২০১৪-র যে সমস্ত প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল বিজেপি, তার মধ্যে অন্যতম অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণ৷ কিন্তু বর্তমানে বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টের বিচারাধীন হয়ে রয়েছে৷ এদিন সেই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে, বিতর্কিত এই বিজেপি প্রার্থী বলেন, ‘‘এটা বিজেপির রাজনৈতিক ইস্যু নয়৷’’ হাজার বিতর্কের পরেও নিজের জয়ের বিষয়ে একশো শতাংশ নিশ্চিত বলে জানান ভোপালের বিজেপি প্রার্থী৷ প্রতিপক্ষ কংগ্রেসের বর্ষীয়ান নেতা দিগ্বিজয় সিংকে পাত্তা না দিয়েই তিনি বলেন, ‘‘জনগণ আমার সঙ্গে রয়েছে৷ আমার প্রার্থীপদ তাঁদের অনুপ্রাণিত করেছে৷’’

[ আরও পড়ুন: সাহসিকতাকে কুর্নিশ, বীরচক্র সম্মানে ভূষিত হতে পারেন অভিনন্দন ]

প্রসঙ্গত, বিজেপি তাঁকে ভোপালের প্রার্থী করার পরেই প্রথম বিতর্কিত মন্তব্যটি করেন সাধ্বী প্রজ্ঞা৷ জানান, তাঁর অভিশাপেই মৃত্যু হয়েছে মুম্বই হামলার শহিদ হেমন্ত কারকারের৷ কারণ কারাবাসে থাকাকালীন তাঁর উপর অমানবিক অত্যাচার চালিয়েছিলেন হেমন্ত কারকারে৷ সাধ্বীর এই মন্তব্যের ভিডিও ছড়িয়ে পড়তেই তোলপাড় পড়ে যায়। বিষয়টি নিয়ে আসরে নেমে পড়ে বিরোধী দলগুলি। প্রধানমন্ত্রীকে ক্ষমা চাইতে হবে বলে দাবি করে কংগ্রেস। তীব্র নিন্দা করে আইপিএসদের সংগঠন। স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে তদন্তের নির্দেশ দেয় নির্বাচন কমিশন। যদিও পরে সমালোচনার মুখে নিজের বয়ান বদল করেন সাধ্বী। বিবৃতি দিয়ে বলেন, ‘কাউকে ব্যক্তিগতভাবে আঘাত দিতে চাইনি। কেউ যদি আঘাত পেয়ে থাকেন তাহলে ক্ষমা চাইছি। আমি এভাবে বলিনি। আমার মন্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা করা হচ্ছে।’

 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ