Advertisement
Advertisement

Breaking News

নোবেল পেতে পারেন রিজার্ভ ব্যাঙ্কের প্রাক্তন গভর্নর রঘুরাম রাজন

অর্থনীতিতে নোবেল পাওয়ার জোরাল সম্ভাবনা।

Raghuram Rajan among probables for Nobel Prize for economics: The Wall Street Journal

ফাইল চিত্র।

Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:October 8, 2017 2:58 am
  • Updated:October 8, 2017 2:58 am

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অর্থনীতিতে নোবেল পেতে চলেছেন ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের প্রাক্তন গভর্নর রঘুরাম রাজন? সোমবার স্টকহোমে নোবেল পুরস্কার অ্যাকাডেমি যে ঘোষণাই করুক, তার আগে সম্ভাব্য নোবেল প্রাপক হিসাবে তুঙ্গে উঠল রাজনকে নিয়ে জল্পনা। সৌজন্যে ওয়াল স্ট্রিট জার্নালে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন। ক্ল্যারিভেট অ্যানালিটিক্স নামের একটি বিশ্লেষণ সংস্থাকে উদ্ধৃত করে বিশিষ্ট ওই আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক পত্রিকাটি জানিয়েছে, অর্থনীতি সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ গবেষণায় যে ছয় দাবিদার সম্ভাব্য নোবেল প্রাপকের তালিকায় রয়েছেন তার মধ্যে আরবিআইয়ের প্রাক্তন গভর্নর রঘুরাম রাজন অন্যতম।

 

Advertisement

ব্যবসায়িক অর্থনীতিতে গৃহীত সিদ্ধান্তের ব্যাপ্তি এবং বিভিন্ন দিক সম্পর্কে আলোকপাত করেছেন রাজন। অর্থনীতিতে রাজনের দীর্ঘ অভিজ্ঞতা ও গবেষণালব্ধ ওই তত্ত্বের গুরুত্ব রয়েছে বলে জানিয়েছে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল। আর এটাই কারণ সম্ভাব্য নোবেল প্রাপক হিসাবে রাজনের নাম উঠে আসার। ক্ল্যারিভেট অ্যানালিটিক্স যে ছ’জনের তালিকা তৈরি করেছে, তাতে রাজনের নাম রাখার মূল কারণও সেটাই। ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল জানিয়েছে, নোবেল পাওয়ার সমস্ত যোগ্যতা রয়েছে রাজনের এই গবেষণা ও বিশ্লেষণের। ইন্টারন্যাশনাল মনিটারি ফান্ডের (আইএমএফ) তরুণতম এবং প্রথম অপশ্চিমি মুখ্য অর্থনীতিবিদ ছিলেন রাজন। বর্তমানে শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের বুথ স্কুল অফ বিজনেসের অর্থনীতি বিষয়ক প্রফেসর।

[পার্লারে যেতে পারবেন না মুসলিম মহিলারা, যোগীর রাজ্যে ফতোয়া জারি ]

গত বছর সেপ্টেম্বরে আরবিআই গভর্নর হিসাবে তাঁর মেয়াদ শেষ হয়। তবে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে রাজন প্রথম নজরে আসেন ২০০৮ সালে। তার ঠিক তিন বছর আগে আমেরিকায় আয়োজিত অর্থনীতিবিদ এবং ব্যাঙ্কারদের বার্ষিক শীর্ষ সম্মেলনে একটি ভবিষ্যদ্বাণী করার জন্য। ওই সম্মেলনে রাজন জানিয়েছিলেন খুব শীঘ্রই বড় ধরনের আর্থিক বিপন্নতার মুখোমুখি হতে চলেছে গোটা বিশ্ব। তখন অবশ্য রাজনের ওই বক্তব্য নিয়ে অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বক্রোক্তি করেছিলেন। এমনকী তাঁকে নিয়ে ব্যঙ্গ করতেও ছাড়েননি। কিন্তু, বছর তিনেক পর সত্যি চূড়ান্ত মন্দার শিকার হল মার্কিন অর্থনীতি, তখন রাজনের ভবিষ্যদ্বাণী হাড়ে হাড়ে টের পান বিশ্ব অর্থনীতিবিশারদরা। প্রসঙ্গত, এই রাজনই তাঁর লেখা বই ‘আই ডু হোয়াট আই ডু’ বইয়ে মোদির নোটবন্দি প্রসঙ্গে বলেছিলেন, “কালো টাকার প্রতিকারে বিমুদ্রাকরণের সিদ্ধান্তের হয়তো দীর্ঘমেয়াদি সুফল মিলতে পারে। কিন্তু, এই সময়ে তার অর্থনৈতিক মূল্য সরকারকে বিপাকে ফেলবে।”

[ভারতের ক্ষতি করার হিম্মত নেই চিনের, নাম না করে বার্তা রাজনাথের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ