সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিমানে সাংবাদিক অর্ণব গোস্বামীকে হেনস্তা করায় কমেডিয়ান কুণাল কামরাকে বয়কট করেছে কয়েকটি বিমান সংস্থা। এবার রেলও এমন সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে। সহযাত্রী ও কর্মীদের সঙ্গে খারাপ আচরণ ও ঝামেলা করলে এবার অভিযুক্তকেও বয়কট করবে ট্রেনও। অর্থাৎ অভিযুক্ত যাত্রীকে ট্রেনের টিকিট দেওয়া হবে না।
দিল্লি-লখনউ বিমানে ঝামেলার পর কুণালকে বয়কটের সিদ্ধান্ত বিমান কর্তৃপক্ষের। কুণাল পরে অভিযোগ করেন, রেলের টিকিটের ই-বুকিং করতে গিয়েও তিনি নির্ধারিত সংস্থার ওয়েবসাইট খুলতে পারেন নি। তবে কী রেলও তাঁকে বয়কট করল? এই প্রশ্ন তোলেন কুণাল কামরা। এক রেল আধিকারিক জানিয়েছেন, এবার সহযাত্রীকে হেনস্তা করলে অভিযুক্তকে বয়কট করবে রেলও। কয়েক মাস তাঁকে টিকিট দেওয়া হবে না। রেলের এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করার আগেই আধিকারিকদের মধ্যে মতভেদ দেখা দিয়েছে।
[আরও পড়ুন: সংসদে CAA বিক্ষোভ, রাষ্ট্রপতির সামনে প্ল্যাকার্ড হাতে নীরব প্রতিবাদ তৃণমূল সাংসদদের]
রেলকর্মীদের একাংশের দাবি, বিমানে অভব্যতা করলে মাঝে আকাশ কিছু করার থাকে না। দূরপাল্লার রেলযাত্রায় গড়ে পঞ্চাশটা স্টেশন পড়ে। কে চড়ছে, কে নামছে এটা নির্ধারণ করা সম্ভব নয়। ফলে এমন কড়া সিদ্ধান্ত কার্যকর করা অসম্ভব বলে মনে করেছেন তাঁরা। রেল যাত্রীদের মধ্যে নানা ধরনের ঝামেলা হয়, যা টিটিই প্রাথমিকভাবে মিটিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন। তিনি ব্যর্থ হলে আরপিএফ মাঠে নামে। আইন শৃঙ্খলার বিষয় হলে ব্যবস্থা নেয় রেল পুলিশ। এই ব্যবস্থার মধ্যে ওই যাত্রীকে বর্জনের নীতি কতটা কার্যকর হবে তা নিয়ে দ্বিধাগ্রস্থ খোদ রেল কর্তারাই।
[আরও পড়ুন: মমতা-কেজরির ‘বন্ধুত্ব’, দিল্লি বিধানসভা ভোটে আপকে সমর্থন তৃণমূলের]
রেলের সিদ্ধান্তের পালটা যাত্রীদের প্রশ্ন, অধিকাংশ সময়ে রেলের তরফে অসংখ্য হয়রানির ঘটনা ঘটে, ঝামেলা করেন রেলের কর্মীরা, সেক্ষেত্রে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে? বৈধ টিকিট থাকা সত্বেও টিটিইর হয়রানি, আরপিএফ জিআরপি কর্মীদের দ্বারা নাজেহাল হওয়ার ঘটনা, নিত্যযাত্রী ও হকারদের দৌরাত্ম্য, খারাপ খাবার পরিবেশন, ভুয়া মিনারেল ওয়াটার ট্রেনে বিক্রি এসব গা সওয়া হয়ে গিয়েছে। যাত্রীদের দাবি, এই বিষয়গুলিতে রেলের পদক্ষেপের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। সেই বিষয় কার্যকর না করে অভিযুক্ত যাত্রীকে বর্জন করার নীতি বালখিল্যতার মতো কাজ বলে তাঁদের মত। যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্যে তৎপর হোক রেল, সেটাই চান যাত্রীরা। এখন আশঙ্কা হচ্ছে, দুর্ব্যবহারের অভিযোগ তুলে নিম্নমানের খাবার নিয়ে যাত্রীদের মুখবন্ধ করে দেওয়া হবে।