নন্দিতা রায়, নয়াদিল্লি: CAA-NRC-NPR বিরোধী আন্দোলনের আঁচ পড়ল সংসদের বাজেট অধিবেশনেও। অধিবেশন শুরুর আগে সর্বদলীয় বৈঠকেও সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছিল বিরোধী দলগুলি। এবার সংসদে বাজেট অধিবেশনের শুরুতেই সংসদের সেন্ট্রাল হলে রাষ্ট্রপতির সামনেই হাতে CAA-NPR বিরোধী পোস্টার নিয়ে বিক্ষোভ দেখালেন তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদেরা। শুধু পোস্টার নয়, তাঁদের পোশাক জুড়েও ছিল CAA, NRC বিরোধিতা। শুক্রবার রাষ্ট্রপতির ভাষণ চলাকালীন নীরবে হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে সংসদ কক্ষের ভিতর দাঁড়িয়ে ছিলেন তৃণমূল সাংসদেরা। তাদের এই অভিনব প্রতিবাদে অভিভূত অন্য বিরোধী দলগুলিও। তবে তৃণমূল সাংসদদের এই প্রতিবাদের তীব্র সমালোচনা করেন বিজেপি নেতৃত্ব।
#BudgetSession Trinamool’s silent protest against #CAA, #NRC and #NPR during President’s address in Central Hall. Silently holding up posters. Video coming soon pic.twitter.com/qOkOJwhNoy
— All India Trinamool Congress (@AITCofficial) January 31, 2020
সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন ইস্যুতে দেশের নাগরিক সমাজের একাংশের মধ্যে যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে, তা কাজে লাগাতে মরিয়া বিরোধীরা। তাই বাজেট অধিবেশনে কতটা আলোচনা হবে, আর কতটা বিক্ষোভ হবে তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। বিক্ষোভের ঝড় অবশ্য ইতিমধ্যেই আছড়ে পড়েছে। শুক্রবার অধিবেশনের প্রথম দিনই সোনিয়ার (Sonia Gandhi) নেতৃত্বে বিক্ষোভে শামিল হয়েছে বিরোধীরা। এর মধ্যেই নজর কেড়েছে তৃণমূল সাংসদদের প্রতিবাদ।
[আরও পড়ুন: উত্তরপ্রদেশে শিশু অপহরণকারীর স্ত্রীকে গণপিটুনি, হাসপাতালে মৃত্যু মহিলার]
এদিন অধিবেশনের শুরুতেই রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের ভাষণ ঘিরে বিতর্ক দানা বাঁধে। তিনি বলেন, “CAA বাপুর স্বপ্নপূরণ করেছে।” তাঁর এই মন্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করেন বিরোধী সাংসদেরা। কিন্তু যখন রাষ্ট্রপতি বক্তব্য রাখছিলেন, ঠিক সেইসময় সেন্ট্রাল হলে পোস্টার-প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে দাঁড়িয়েছিলে তৃণমূল সাংসদ দোলা সেন, মিমি চক্রবর্তী, কাকলি ঘোষ দস্তিদার-সহ অন্যরা। তাঁদের হাতে সাদা কাগজে লাল কালিতে লেখা হয়েছিল, ‘No CAA’, ‘No NPR’, ‘No NCR’।
[আরও পড়ুন: ১ এপ্রিল থেকেই ভারতে ‘পরিবেশ বান্ধব’ জ্বালানি, বাড়বে পেট্রল-ডিজেলের দাম ]
তৃণমূল প্রতিবাদ সম্পর্কে তৃণমূল সাংসদ শিশির অধিকারী বলেন, “জোর করে এই আইন দেশের মানুষের উপর চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। গোটা দেশ বিশেষত যুব সম্প্রদায় এই আইনের বিরোধিতা করছে। আমরা সেই বার্তা এদিন রাষ্ট্রপতির কাছে পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করেছি।” তবে তৃণমূলের এই প্রতিবাদে সমালোচনায় সরব হয়েছেন বিজেপি সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়। তাঁর কথায়, “তৃণমূল রাজনৈতিকভাবে এর বিরোধিতা করছে। কিন্তু রাষ্ট্রপতির ভাষণ চলাকালীন এই প্রতিবাদ অসৌজন্যতা। এটা তৃণমূলের বর্ষীয়ান নেতারাও জানেন। তাই সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়রা অংশ নেয়নি।”