Advertisement
Advertisement
রেলের টিকিট পরীক্ষক

টিকিট পরীক্ষকদের মার্কেটিংয়ের কাজ করতে গিয়ে সংক্রমণ বাড়ছে, ক্ষোভ টিটিই মহলে

রেলের এই উদাসীনতা ও স্বেচ্ছাচারিতার প্রতিবাদে নেমেছে মেনস ইউনিয়ন।

Railway TTE's furious over marketing works during COVID-19 Pandemic

ফাইল ছবি

Published by: Subhamay Mandal
  • Posted:July 5, 2020 3:49 pm
  • Updated:July 5, 2020 3:49 pm

সুব্রত বিশ্বাস: টিকিট পরীক্ষকদের দিয়ে যে কাজ রেল করাচ্ছে, তা অবিলম্বে বন্ধের দাবি তুলেছে কেন্দ্রীয় টিকিট পরীক্ষকদের সংগঠন। টিকিট পরীক্ষকদের দিয়ে মার্কেটিংয়ের কাজ করানো হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি লক্ষ্মণ রাও রায়পুর ডিভিশনে টিকিট পরীক্ষকদের আন্দোলনে দাঁড়িয়ে তীব্র ক্ষোভ উগরে দিয়ে বলেন, টিকিট পরীক্ষকদের কাজ টিকিট চেকিং করা, ট্রেন যাত্রীদের সুবিধা দেওয়া, প্রয়োজনে অনুসন্ধান অফিসে কাজ করা ও আনুষঙ্গিক বিষয় দেখা। কিন্তু কোভিড পরিস্থিতিতে রেল তাঁদের দিয়ে শ্রমিক ট্রেনে খাবার পরিবেশন করা থেকে লোকাল ট্রেনে আই কার্ড পরীক্ষার কাজ করাচ্ছে। এটা চরম অনৈতিক ও আইন বিরুদ্ধ বলে তিনি দাবি করেছেন।

কোভিড পরিস্থিতিতে এই কাজ করতে গিয়ে বহু টিকিট পরীক্ষক সংক্রমিত হয়েছেন। তাঁর সংস্পর্শে এসে পরিবারের লোকজন সংক্রমিত হয়েছেন। শিয়ালদহের এক চিফ ইন্সপেক্টর টিকিট পরীক্ষক কোভিড আক্রান্ত হয়েছেন। ৩০ জুন তিনি শিয়ালদহ স্টেশনে যাত্রীদের আই কার্ড চেক করার কাজ করছিলেন। সেখান থেকেই সংক্রামিত হয়েছেন বলে তিনি দাবি করেন। তাঁর পরিবারের অন্য তিন সদস্যও আক্রান্ত করোনা ভাইরাসে। ওই সিআইটির সঙ্গে কাজ করা টিকিট পরীক্ষকদের আইসলেশনে পাঠানো হয়েছে। রেলের এই উদাসীনতা ও স্বেচ্ছাচারিতার প্রতিবাদে নেমেছে মেনস ইউনিয়ন। তারাও প্রতিবাদ জানিয়েছে রেলকর্তাদের কাছে। এভাবে কর্মীদের মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেওয়া চলবে না বলে জানান পূর্ব রেলের সাধারণ সম্পাদক অমিত ঘোষ। তিনি বলেন, মৌখিক নির্দেশে তাঁদের কাজে পাঠানো হচ্ছে। নেই কোনও বিমার সুবিধা। রোগে আক্রান্ত ও মৃত্যু হলে দায় কার।

Advertisement

[আরও পড়ুন: বদ্ধ এসি কামরায় সংক্রমণের ভয়! এবার বিশেষ ব্যবস্থা রেলের]

এদিকে, লিলুয়া ওয়ার্কশপে কোভিড আক্রান্ত এক মহিলা আধিকারিক। ডেপুটি চিফ অ্যাকাউন্টস অফিসার আক্রান্ত হওয়ার দু’দিন আগে দশ আধিকারিকের সঙ্গে বৈঠক করেন। তাঁদের কোয়ারেন্টাইনে না পাঠানোয় ওয়ার্কশপে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। কর্মী সংগঠন পরিস্থিতির দিকে নজর দিয়ে কর্মী কম করা বা ছুটির আবেদন সত্ত্বেও পূর্ব রেলের প্রিন্সিপাল চিফ মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার কাজ চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। এই অভিযোগ জানিয়ে মেনস ইউনিয়নের জেনারেল সেক্রেটারি অমিত ঘোষ বলেন, যে হারে কর্মীদের মধ্যে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। অচিরেই রেল দপ্তরগুলি কোভিডের সংরক্ষণ কেন্দ্র হয়ে উঠবে।

Advertisement

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ