Advertisement
Advertisement
নলিনী

মেয়ের বিয়ের জন্য প্যারোলে মুক্ত রাজীব হত্যায় দোষীসাব্যস্ত নলিনী

প্যারোল দিলেও নলিনীর সাজা কমানোর আবেদন খারিজ করে আদালত।

Rajiv Gandhi assassination convict Nalini out on 30-day parole,

প্যারোলে মুক্ত নলিনী

Published by: Soumya Mukherjee
  • Posted:July 25, 2019 1:08 pm
  • Updated:July 25, 2019 1:08 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একমাত্র মেয়ের বিয়ের জন্য প্যারোলে মু্ক্তি পেল রাজীব গান্ধী হত্যায় দোষীসাব্যস্ত নলিনী শ্রীহরণ। বৃহস্পতিবার সকালে তামিলনাড়ুর ভেলোর জেল থেকে তাকে ছেড়ে দেওয়ার পর এক আত্মীয় এসে নিয়ে যায়। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত হয়ে গত ২৮ বছর ধরে জেলবন্দি রয়েছে প্রাক্তন এই এলটিটিই জঙ্গি। কিছুদিন আগে মেয়ের বিয়ের প্রস্তুতির জন্য মাদ্রাজ হাই কোর্টে প্যারোলে মুক্তির জন্য আবেদন করেছিল। গত পাঁচ জুলাই সেই আবেদনের ভিত্তিতে নলিনীকে প্যারোলে মুক্তি দেওয়ার নির্দেশ দেয় আদালত। তবে নলিনীর আবেদন মেনে ছ’মাস না দিয়ে ৩০ দিনের ছুটি দেওয়া হয় তাকে। তবে এই সময়ের মধ্যে সংবাদমাধ্যমের সামনে কোনও মন্তব্য করতে নিষেধ করা হয়েছে। এই সংক্রান্ত একটি গাইডলাইন দিয়ে তা মেনে চলতেও বলা হয়েছে।

[আরও পড়ুন- বিজয় দিবসে শ্রদ্ধার্ঘ্য, শহিদ পরিবারকে রান্না করে খাওয়াচ্ছেন সঞ্জীব কাপুর]

এর আগে ২৫ ফেব্রুয়ারি নলিনীর এবং ২২ মার্চ নলিনীর মায়ের করা আবেদন খারিজ করে দেয় রাজ্য প্রশাসন। গত ফেব্রুয়ারি মাসে জেল কর্তৃপক্ষের কাছে করা আবেদনে নলিনী জানান, প্রত্যেক বন্দির জন্য ২ বছর অন্তর বরাদ্দ করা একমাসের জন্য মুক্তির সুবিধা তিনি কখনও পাননি। মাঝে ২০১৬ সালে বাবার শেষকৃত্যের সময় মাত্র ১২ ঘণ্টার জন্য প্যারোলে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল তাকে। কিন্তু, তার আগে বা পরে আর কোনও ছুটি মেলেনি। জেল প্রশাসন নলিনীর এই আবেদন খারিজ করে দেওয়ার পরে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয় সে। সেখানে তার আবেদন শোনার পর আদালত ৩০ দিনের প্যারোল মঞ্জুর করে। এরই মাঝে গত সপ্তাহে মাদ্রাজ হাই কোর্টের কাছে নতুন একটি পিটিশন জমা দেয় নলিনী। তাতে গর্ভনর যাতে তার কারাদণ্ডের মেয়াদ কমায় তার জন্য হাই কোর্টকে নির্দেশ দেওয়ার আবেদন করেছিল। কিন্তু, তা খারিজ করে দেয় আদালত।

Advertisement

১৯৯১ সালের রাজীব গান্ধী হত্যায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পরে নলিনী-সহ সাতজনকে মৃত্যুদণ্ড দেয় আদালত। কিন্তু, সেই শাস্তি কার্যকর না হওয়ার পরে ২০০০ সালে তা যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে পরিবর্তিত করে তামিলনাডু সরকার। এরপর রাজ্যপাল বনওয়ারিলাল পুরোহিতকে তদানীন্তন এআইএডিএমকে সরকারের পক্ষ থেকে ওই মামলায় সাজাপ্রাপ্ত মুরুগান, সান্থন, পেরারিভালান, জয়াকুমার, রবিচন্দ্রণ, রবার্ট পায়াস ও নলিনীকে মুক্তি দেওয়ার জন্য নির্দেশ দিতে বলা হয়। এই সাত বন্দির মুক্তির বিষয়ে সব রকম চেষ্টা করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেন তামিলনাডুর মুখ্যমন্ত্রী কে পালানিস্বামী। তবুও শেষ পর্যন্ত জেল থেকে মুক্তি পায়নি কেউ।

Advertisement

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ