সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ৩০ বছর বাদে ফের পুনরাবৃত্তি হচ্ছে ইতিহাসের! সোনা বেচে লাভের টাকা কেন্দ্রকে দিচ্ছে রিজার্ভ ব্যাংক। এই আর্থিক বর্ষের (জুলাই-জুন) মধ্যে ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংক ১.১৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের সোনা বিক্রি করেছে। আর ৫.১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের সোনা কিনেছে। যদিও গত আর্থিক বর্ষে মোট দুই বিলিয়ন আমেরিকান ডলার মূল্যের সোনা বিক্রি করেছিল তারা। কিন্তু, এবছর তার থেকে অনেক তাড়াতাড়ি বেশি মূল্যের সোনা বিক্রি করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
[আরও পড়ুন: ভগৎ সিং-সুখদেব-রাজগুরুদের দেওয়া হোক ভারতরত্ন, দাবি কংগ্রেস সাংসদের]
অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, বিমল জালান কমিটির অনুমোদন মেনে কেন্দ্রকে ১.৭৬ লক্ষ কোটি টাকা দিতেই আরবিআইয়ের এই পদক্ষেপ। রিজার্ভ ব্যাংক সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার পর্যন্ত রিজার্ভ ব্যাংকের ভান্ডারে যা সোনা আছে তার বাজার মূল্য ২৬.৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
গত আগস্ট মাসে রিজার্ভ ব্যাংকের মূলধন কাঠামোর বিষয়ে বিমল জালান কমিটির রিপোর্ট গৃহীত হয়। ওই রিপোর্টে রিজার্ভ ব্যাংকের সমস্ত উদ্বৃত্ত টাকা কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে তুলে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে দেশব্যাপী বিতর্ক শুরু হলেই সেই পথেই হাঁটছে আরবিআই।
[আরও পড়ুন:চাই না গোপাল কান্ডার সমর্থন, হরিয়ানায় বিতর্কে পড়ে সিদ্ধান্ত বদল বিজেপির]
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশের সর্বোচ্চ ব্যাংকের ম্যানেজমেন্ট এই রিপোর্ট অনুযায়ী পদক্ষেপ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।এরপরই সোনা বিক্রি করে তার লাভের টাকা কেন্দ্রের হাতে তুলে দেওয়ার প্রক্রিয়া চালু হয়।
কেডিয়া অ্যাডভাইসরি নামে একটি আর্থিক সংস্থার কর্তা অজয় কেডিয়া জানান, আরবিআই-এর কাছে উদ্বৃত্ত সোনা ছিল। বিমল জালান কমিটির রিপোর্ট গৃহীত হওয়ার ফলে সোনালি রঙের ওই ধাতু বিক্রির সুযোগ পায় তারা।সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, আগস্টের শেষ পর্যন্ত রিজার্ভ ব্যাংকের ভাড়ারে মোট ১৯.৮৭ মিলিয়ন ট্রয় আউন্সের সোনা ছিল।
এপ্রসঙ্গে ইন্ডিয়া বুলিয়ান অ্যান্ড জুয়েলার্স অ্যাসোশিয়েসনের জাতীয় সম্পাদক সুরেন্দ্র মেহেতা জানান, বাজারে সোনার মূল্য যখন বাড়ছে সেসময় আরবিআইয়ের সোনা বিক্রি সিদ্ধান্তটি আরও খতিয়ে দেখা উচিত ছিল।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এর আগে ১৯৯১ সালে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নরসিংহ রাওয়ের শাসনকালে এই ঘটনা ঘটেছিল। তিন দশক বাদে ফের একই পথে হাঁটল রিজার্ভ ব্যাংক।