সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ট্রাফিক সিগনালের তিনটি রং নিশ্চই চেনেন? তাহলে হয়তো জানেনও যে এই তিনটি রঙের অর্থ কী? এবার এই তিনটি রঙের ভিত্তিতে চিহ্নিত করা হবে দেশের করোনা সংক্রমণে প্রভাবিত স্থানগুলিকে। সংক্রমণের প্রভাবের উপর নির্ভর করে দেশের স্থানগুলিতে ভাগ করা হবে তিনটি জোনে (Zone)। শনিবার দেশের ১৩ জন মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকের পর এই সিদ্ধান্ত নেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
করোনার মারণ প্রভাব দেখে কয়েকটি রাজ্য আলাদা করে লকডাউনের সময়সীমা বৃদ্ধি করেছে। পশ্চিমবঙ্গেও এই সময়সীমা বাড়িয়ে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত করা হয়েছে। লকডাউনে ভাইরাসের সঙ্গে মোকাবিলার পাশপাশি লড়াই চালাতে হবে অর্থনৈতিক মন্দার সঙ্গেও। তাই দ্রুত সংক্রমিত এলাকাগুলিতে চিহ্নিত করতে তৎপর প্রশাসন। লাল, কমলা, সবুজ এই তিন রঙে দেশের করোনা সংক্রমিত এলাকাগুলিকে চিহ্নিত করার সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্রীয় সরকার। ইতিমধ্যেই ১৪ এপ্রিল থেকে বাড়িয়ে লকডাউনের সময়সীমা ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে।
লাল, অর্থাৎ দেশের যে স্থানগুলিতে করোনার প্রভাব বেশি। সেই স্থানগুলিকে রেড জোনে রাখা হবে। এই স্থানগুলোতে অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের দোকান ছাড়া অন্যকিছু পাওয়া যাবে না। সকলকে কঠোরভাবে গৃহবন্দি হয়ে থাকতে হবে। কমলা জোনের অর্থ- এই স্থানগুলোতে সংক্রমণের প্রভাব তুলনামূলকভাবে কম রেড জোনের থেকে। ফলে এই এলাকাগুলিতে নির্দিষ্ট পরিমাণে যানবাহন চলবে। অন্যদিকে সবুজ রং বা গ্রিন জোনের অর্থ হল- এখানে কেউ সংক্রমিত নন। তাই এখানে অত্যাবশ্যকীয় পণ্য ও যানবাহন দুটোই চলবে। সঙ্গে মাঝারি শিল্প ও ক্ষুদ্র শিল্প এই অঞ্চলে চালানো যেতে পারে।
[আরও পড়ুন:দুঃসময়ের ‘বন্ধু’ রেল, লক্ষাধিক মানুষকে খাবার বিলি IRCTC-র]
জানা গিয়েছে, দেশের ৪০০ জেলা করোনা সংক্রমিত। এবার সেই এলাকাগুলিতে ক্রমাগত পরীক্ষার চালিয়ে কতজন সংক্রমিত তা খুঁজে বের করতে হবে। তার ভিত্তিতেই এলাকাগুলিকে রঙের জোনে রাখা হবে। এদিকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে কোন শিল্পগুলিকে লকডাউনের বাইরে রেখে কর্মকাণ্ড বিস্তারে অনুমতি দেওয়া যাবে, সেই তালিকাও তৈরি করছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। ক্রমেই তা প্রকাশ করা হবে সরকারের তরফ থেকে