Advertisement
Advertisement

Breaking News

বিজেপির ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমের রিপোর্টে নেই ৩৫৫ ধারার সুপারিশ, বাংলার আইনশৃঙ্খলা নিয়ে তোপ নাড্ডার

রিপোর্ট রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে দলের তরফে পাঠানো হবে বলে সূত্রের খবর।

Report exposes Lawlessness, JP Nadda on Bengal panchayat poll violence | Sangbad Pratidin
Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:July 21, 2023 9:15 am
  • Updated:July 21, 2023 9:15 am

বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত, নয়াদিল্লি: রাজ্যে পাঠানো বিজেপির দু’টি তথ্য অনুসন্ধান দলের রিপোর্ট জমা পড়েছে সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার কাছে। গত শুক্রবার প্রথম দলের তরফে রিপোর্ট দেন রবিশংকর প্রসাদ। বৃহস্পতিবার মহিলা দলের রিপোর্ট দেন সাংসদ সরোজ পাণ্ডে। নাড্ডার কাছে জমা পড়া দু’টি রিপোর্টে হিংসার ঘটনার একাধিক উল্লেখ থাকলেও ৩৫৫ জারি করার সুপারিশ করা হয়নি বলে জানান শীর্ষনেতা।

বাংলায় পঞ্চায়েত ভোটে (West Bengal Panchayat Election) সন্ত্রাস ও হিংসার ছবি দেখতে রবিশংকর প্রসাদ (Ravi Shankar Prasad) ও সাংসদ সরোজ পান্ডের নেতৃত্বে দু’টি টিম পাঠিয়েছিলেন বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডা। ‘ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম’এর পক্ষ থেকে সভাপতি জেপি নাড্ডাকে রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়েছে। দিল্লির দীনদয়াল উপাধ্যায় মার্গের দলীয় কার্যালয় সূত্রে খবর, দু’টি রিপোর্টেই মৃত ও আহতদের নাম ঠিকানা সহ ঘটনার উল্লেখ করা হয়েছে। সরকারি বা দলের তরফে ক্ষতিপূরণ পেয়েছেন কিনা তা উল্লেখ করার পাশাপাশি আহতদের ক্ষেত্রে চিকিৎসার কি ব্যবস্থা করা হয়েছে সেই তথ্যও দেওয়া হয়েছে রিপোর্টে। সেইসঙ্গে প্রশাসনের তরফে ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্য করা হয়েছে কিনা তা উল্লেখ করার পাশাপাশি রাজ্য ও জেলা নেতৃত্ব কি ভূমিকা পালন করেছে সেই তথ্যও রয়েছে নাড্ডার কাছে জমা পড়া রিপোর্টে।

[আরও পড়ুন: বন্দে ভারতে প্রস্রাব করতে উঠে বিপত্তি, ভোপাল থেকে উজ্জয়িনী পৌঁছে গেলেন যুবক]

রিপোর্ট নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ আলাদ করে রবিশঙ্কর প্রসাদের সঙ্গে কথা বলেন জানান তিনি। নাড্ডার (JP Nadda) কাছে জমা পড়া দু’টি রিপোর্ট একত্রিত করে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে দলের তরফে পাঠানো হবে বলে গেরুয়া শিবির সূত্রে খবর। দলের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমের রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পরই দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা প্রবল আক্রমণ শানিয়েছেন বাংলার শাসক দলকে। তাঁর দাবি, “বাংলায় এখন অরাজকতা চলছে। যেভাবে রাজনীতির স্বার্থে সরকার মানবিকতাটুকুও ভুলে যাচ্ছে, সেটা বিজেপি সহ্য করবে না।”

[আরও পড়ুন: ক্যারিবিয়ান মাটিতে অভিষেক, জাতীয় দলের হয়ে খেলতে নামছেন বাংলা দলের মুকেশ]

যদিও এই ধরনের কমিটি কোনও সরকারি কমিটি নয়। এর কোনও কার্যকরী ক্ষমতাও নেই। সাধারণত রাজ্যের উপর চাপ তৈরি, স্থানীয় বিজেপি কর্মীদের মনোবল বাড়ানো ও রাজনৈতিক প্রচারের উদ্দেশে এ ধরনের কমিটি পাঠানো হয়। কেন্দ্রে বাজপেয়ী-আডবাণী জমানা থেকে এ ধরনের সংসদীয় প্রতিনিধি দল পাঠানোর চল শুরু হয়েছিল বিজেপিতে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ