সুব্রত বিশ্বাস: বিশ্বত্রাস করোনা। মোকাবিলার একমাত্র অস্ত্র লকডাউন। যা মানতে গিয়ে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। এই দশা সামাল দিতে রেল গরিব মানুষের মুখে অন্ন তুলে দিচ্ছে। সেই অন্ন বণ্টনের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন আরপিএফ কর্মীরা। দেশজুড়ে যখন এই চিত্র তখন এক শ্রেণীর আরপিএফ কর্মী মদ আর গাঁজা পাচার করতে ব্যস্ত।
লকডাউনে মোটা মুনাফার আশায় এই মাদক পাচারের ব্যবসা ফেঁদে বসেছে তারা। দিল্লি স্টেশনের কাছে পাহারগঞ্জ থানার পুলিশ তিন আরপিএফ কনস্টেবলকে গাড়ি সমেত আটক করে। গাড়ি থেকে উদ্ধার হয় প্রচুর মদের বোতল। দিল্লি স্টেশন আরপিএফ পোস্টের তিন কনস্টেবল ধরা পড়তেই ইনচার্জ ভূপেন্দ্র সিং ডাগর থানায় উপস্থিত হন। আটক কনস্টেবলদের ছাড়ানোর তদ্বির করেও বিশেষ ফল পাননি। কনস্টেবল জয়বীর সিংয়ের বিরুদ্ধে এক্সাইজ আইন ২০০০ এর ৩৩এ/৫৮ ধারায় মামলা করা হয়। পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে, ধৃতরা লকডাউন চালু হতে এই ব্যবসা ফেঁদে বসে বসেছিল। পদের অপব্যবহার করে গাড়িতে করে মদ নিয়ে আসত তারা। আপৎকালীন পরিস্থিতিতে ডিউটির অজুহাতে ছাড় পাচ্ছিল তারা। পরে পুলিশ নাকা চেকিং করার সময় তিন কনস্টেবলকে বমাল সমেত ধরে ফেলে। তারপর ধৃত কনস্টেবল দীনেশ কুমার ও গোপেশ কুমার মিনাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। দুজনকেই সাসপেন্ড করা হয়েছে।
খোদ দিল্লির বুকে এমন কলঙ্কজনক অধ্যায়ে তীব্র চাঞ্চল্য ছাড়িয়ে পড়ে। অন্য একটি ঘটনায় দক্ষিণ-পূর্ব মধ্য রেলের বিলাসপুর ডিভিশনের শাহদল-এ গাঁজা পাচারের অপরাধে এক কনস্টেবলকে সাসপেন্ড করা হয়। তার অভিযোগে পোস্টের ইনচার্জকেও সাসপেন্ড করা হয়। গত দু’দিন যখন এই কর্মকান্ডে উত্তাল রইল দিল্লি সদর। ঠিক তখন এনডব্লিউআর এর বাদীকুইন ট্রেনিং সেন্টারের এক কনস্টেবল স্বামীর চিকিৎসার নামে করে বিভিন্ন সূত্রে ৪১ লক্ষ টাকা তোলেন। যা বেআইনি ও লকডাউনের পরিপন্থি। লকডাউনের মাঝে রক্ষকদের এহেন কাজকর্মে তীব্র সমালোচনা শুরু হয়েছে। আরপিএফ উর্দ্ধতনদের কথায়, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.