সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিরোধীরা যাই বলুক না কেন জাতীয় শিক্ষানীতি (National Education Policy) -এর প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়ে উঠেছে আরএসএস (RSS) -এর শাখা সংগঠনগুলি। তাদের তরফে যা পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল তার ৬০ শতাংশ নতুন শিক্ষানীতিতে জায়গা পেয়েছে বলেও জানিয়েছে তারা। এর ফলে দেশ আরও এগিয়ে যাবে বলেও দাবি করেছে। তার জন্য ঘোষণার মতো এই নীতির বাস্তবায়নের উপরেও সরকারকে গুরুত্ব দিতে হবে বলে পরামর্শ দিয়েছে।
সংঘ পরিবারের বিভিন্ন শাখা সংগঠনের দীর্ঘদিনের দাবি মেনে নিয়ে মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের নামও বদলেছে কেন্দ্র। ২০১৬ সালে ভারতীয় শিক্ষণ মণ্ডল (BSM) -এর উদ্যোগে ‘ভারত বোধ’ একটি সম্মেলনে মানুষকে সম্পদ বা সম্পত্তি হিসেবে দেখতে বারণ করা হয়েছিল। পরে জাতীয় শিক্ষা নীতির খসড়া তৈরির সময় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের নাম বদলে শিক্ষা ও সংস্কৃতি মন্ত্রক রাখারও দাবি জানিয়ে ছিলেন সংঘ নেতারা। যদিও তা পুরোপুরি মানা হয়নি। শিক্ষামন্ত্রক করা হয়েছে। তাতে অবশ্য কোনও ক্ষোভ নেই সংঘের।
[আরও পড়ুন: সন্ত্রাসে মদত থেকে নজর ঘোরাতেই ভারত বিরোধিতা পাকিস্তানের, অভিযোগ নয়াদিল্লির]
বরং নতুন শিক্ষানীতিতে জাতীয় গবেষণা সংস্থা থেকে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে যে রাষ্ট্রীয় শিক্ষা আয়োগ তৈরির কথা বলা হয়েছে তাতে তারা সন্তুষ্ট। আশাবাদী মাতৃভাষায় পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষা ও সংস্কৃত ভাষাকে জনপ্রিয় করার উদ্যোগ নিয়েও। দেশের অখণ্ডতা রক্ষার জন্য নতুন শিক্ষানীতিতে প্রায় সব উপাদানই মজুত আছে বলে দাবি তাদের।
বহু প্রতীক্ষিত শিক্ষানীতির খসড়া তৈরিতে সব থেকে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা ছিল আরএসএসের শিক্ষক সংগঠন ভারতীয় শিক্ষণ মণ্ডলের। এপ্রসঙ্গে তারা বলছে, নতুন শিক্ষানীতির জন্য দেশজুড়ে মতামত নেওয়া হয়েছিল। এই নীতি অনুযায়ী পড়াশোনা শিখে একজন নাগরিক যাতে ভারতীয় হিসেবে গর্ববোধ করেন, নিজের মৌলিক কর্তব্য সম্পর্কে সচেতন হন, সেটাই লক্ষ্য ছিল। প্রাচীন ভারতীয় শিক্ষা ব্যবস্থার অনুকরণে তৈরি এই নীতি সেই লক্ষ্যপূরণ করবে।