Advertisement
Advertisement
Russia-Ukraine Conflict

Russia-Ukraine Conflict: রাশিয়ার বিরুদ্ধে ভারতকে পাশে চায় আমেরিকাও! জয়শংকরকে ফোন মার্কিন স্বরাষ্ট্রসচিবের

রাশিয়া নাকি আমেরিকা, কার দিকে যাবে ভারত?

Russia-Ukraine Conflict: US secretory of state Antony Blinken spoke with S Jaishankar to discuss Russia's attack on Ukraine | Sangbad Pratidin
Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:February 25, 2022 9:15 am
  • Updated:February 25, 2022 3:23 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইউক্রেন-রাশিয়া (Russia-Ukraine War) যুদ্ধ নিয়ে ক্রমশ জটিল হচ্ছে বিশ্ব রাজনীতির সমীকরণ। যুদ্ধ থামাতে ইতিমধ্যেই ভারতকে পাশে চেয়েছে ইউক্রেন। তারপরই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) আবার ফোন করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনকে। এর মধ্যে আবার আমেরিকাও ভারতকে পাশে চাইল।

গতকাল গভীর রাতে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকরকে ফোন করেন মার্কিন বিদেশসচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন (Antony Blinken)। আমেরিকার বিদেশ দপ্তরের মুখপাত্র নেড প্রাইস জানিয়েছেন, রাশিয়া যেভাবে বিনা প্ররোচনায় অন্যায়ভাবে ইউক্রেনে হামলা চালিয়েছে, একসঙ্গে তার প্রতিবাদ করার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে ভারতের বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছেন মার্কিন বিদেশসচিব। অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন নিজেও টুইট করে জানিয়েছেন, “রাশিয়া যেভাবে ইউক্রেনে আক্রমণ করেছে, সেটা আন্তর্জাতিক সীমা নিয়মের অবমাননা। যৌথভাবে এর প্রতিবাদ করা নিয়ে ভারতের বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে আমার কথা হয়েছে।” বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকরও টুইটে মার্কিন বিদেশসচিবের আলোচনার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন।

[আরও পড়ুন: ‘মোদিই পারেন যুদ্ধ থামাতে’, রাশিয়ার হামলা রুখতে ভারতের সাহায্য চাইল ইউক্রেন]

ব্লিঙ্কেনের এই ফোনের আগে আবার খোদ মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইঙ্গিত দিয়েছিলেন রাশিয়ার মোকাবিলায় ভারতকে তিনি পাশে চান। গতকাল হোয়াইট হাউসে এক সাংবাদিক বৈঠকে তিনি জানান, রাশিয়ার বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ পদক্ষেপ করার ব্যাপারে ভারতের সঙ্গে আলোচনা করবে আমেরিকা। তারপরই ব্লিঙ্কেন ফোন করেন জয়শংকরকে (Dr. S. Jaishankar)।

ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে, আমেরিকা (USA) এভাবে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ভারতকে পাশে চাওয়ায় ভারত সরকার উভয় সংকটে পড়ে যেতে পারে। কারণ, রাশিয়ার (Russia) সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক পুরনো। সময়ে-অসময়ে ভারতকে নানাভাবে সাহায্য করে আসছে রাশিয়া। এই পরিস্থিতিতে সরাসরি রাশিয়ার বিরুদ্ধে যাওয়াটা ভারতের পক্ষে চাপের। আবার আমেরিকার সঙ্গে গত কয়েক বছরে ভারতের হৃদ্যতা চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছে। দক্ষিণ এশিয়ার রাজনীতির কথা ভেবে আমেরিকার ডাক উপেক্ষা করাটাও বেশ কঠিন কাজ হবে ভারতের জন্য। সব মিলিয়ে মোদি সরকার এখন কী পদক্ষেপ করে সেটাই দেখার।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ