সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: COVID-19-এর বিরুদ্ধে যখন সামনে সারিতে দাঁড়িয়ে চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী, পুলিশরা লড়াই করছেন, যখন বিজ্ঞানীরা দিনরাত এক করে ভ্যাকসিন আবিষ্কার করতে প্রাণপাত করছেন, তখন একদল ‘অসাধু’ এই রোগের ফায়দা নিয়ে জনসাধারণের থেকে টাকা হাতাতে ব্যস্ত। কেউ অর্থের বিনিময়ে করোনা নেগেটিভ হওয়ার সার্টিফিকেট বানিয়ে দিচ্ছে, তো কেউ রোগমুক্তির উপায় বাতলে দিচ্ছে। কুকর্ম অবশ্য ধরাও পড়ছে। শাস্তিও পেতে হচ্ছে। তেমনই শাস্তি পেল হায়দরাবাদের এক স্বঘোষিত ধর্মগুরু। যে দাবি করেছিল, তার কাছে গেলেই করোনা থেকে মুক্তির পথ মিলবে।
সাইবারাবাদ পুলিশ জানিয়েছে, বছর পঞ্চাশের স্বঘোষিত ধর্মগুরু মহম্মদ ইসমাইল ‘করোনা বাবা’ নামেই বেশি পরিচিত। তার সাগরেদ মহম্মদ সেলিম। দু’জন মিলেই করোনা আবহে নয়া ‘ব্যবসা’ ফাঁদে। নোভেল করোনা ভাইরাসকে (Coronavirus) কীভাবে বধ করে সুস্থ থাকা যাবে, সেই উপায়ই নাকি মানুষকে বলে দিতে পারে এই গডম্যান। এমনকী, মহম্মদ সেলিম এই কাজে হোয়াটসঅ্যাপকেও হাতিয়ার করে। বিভিন্ন গ্রুপে নিজেদের ‘অপার শক্তি’র প্রচার চালায় তারা। করোনাতঙ্কে সেই ফাঁদে পা দেয় অনেকেই।
[আরও পড়ুন: ‘সুস্থতার হার বাড়ছে, কমছে মৃত্যুহার’, ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে দেশবাসীকে ধন্যবাদ মোদির]
পুলিশ জানাচ্ছে, রোগ নিরাময়ের পথ বলে দিতে প্রত্যেকের থেকে ১২ থেকে ৩০ হাজার টাকা চাইত করোনা বাবা। হাফিরপেট এলাকায় এই ব্যবসার কথা জানতে পারে পুলিশ। তারপরই মহামারী আইনে মহম্মদ ইসমাইল ও মহম্মদ সেলিমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মিয়াপুর থানার ইন্সপেক্টর এস ভেঙ্কটেশ জানান, গত চার বছর ধরেই মানুষকে ‘বোকা’ বানানোর কাজ করে চলেছে এরা। আগে সাধারণ জ্বর, অসুস্থতা নিয়ে কেউ হাজির হলে তাদের বিশেষ প্রার্থনার মাধ্যমে সুস্থ হওয়ার উপায় বলে দিত। যদিও কখনও ধরা পড়েনি। তবে করোনা আবহে ব্যবসায় সামান্য এনেই বিপত্তি ঘটল। পুলিশ আরও জানায়, দুই ব্যক্তি সামনে থেকে এগিয়ে এসে দুই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে নিজেদের বয়ান দেন। আরও মানুষ যাঁরা প্রতারিত হয়েছেন, তাঁরাও এদের বিরুদ্ধে মুখ খুলবে বলেই আশা পুলিশের। একইসঙ্গে এ ধরনের বুজরুগিতে কান দিতে সাধারণকে নিষেধ করেছে পুলিশ। অসুস্থ বোধ করে চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে প্রত্যেককে।