Advertisement
Advertisement

Breaking News

দিগ্বিজয়

মাসুদ আজহারকে অভিশাপ দিলেন না কেন? সাধ্বীকে প্রশ্ন দিগ্বিজয়ের

মাসুদকে অভিশাপ দিলে সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের প্রয়োজন হত না, দাবি দিগ্বিজয়ের।

Should have cursed Masood Azhar, Digvijay tells Sadvi
Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:April 28, 2019 7:53 pm
  • Updated:April 29, 2019 7:49 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আমার অভিশাপেরই হেমন্ত কারকারের মৃত্যু হয়েছে, ভোপালের বিজেপি প্রার্থী সাধ্বী প্রজ্ঞার এই দাবির পরই রীতিমতো সরগরম জাতীয় রাজনীতি। মধ্যপ্রদেশ তো বটেই রাজ্যের গণ্ডি পেরিয়ে জাতীয় রাজনীতিতেও সাধ্বীর সেই মন্তব্যের বৃহত্তর প্রভাব পড়েছে। বিরোধীরা তো বটেই, বিজেপিরই একাংশ দলের নয়া ‘পোস্টার গার্ল’কে সমালোচনায় বিদ্ধ করেছেন। শহিদ হেমন্ত কারকারে সম্পর্কে করা সাধ্বীর এই মন্তব্যকে হাতিয়ার করেই এবার নির্বাচনী প্রচারে নামলেন তাঁর বিপক্ষের প্রার্থী দিগ্বিজয় সিং। তিনি জানান, যদি সাধ্বী প্রজ্ঞা মাসুদ আজহারকে অভিশাপ দিতেন তাহলে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক করার প্রয়োজনই হত না।

[আরও পড়ুন: কুমন্তব্যের প্রতিক্রিয়া দিয়ে সাধ্বীকে মহিমান্বিত করতে চান না হেমন্ত কারকারের মেয়ে]

বিজেপি প্রার্থীর মন্তব্যের পরই নেটদুনিয়ায় অনেকে কটাক্ষ করে বলছেন, সাধ্বী প্রজ্ঞার অভিশাপে যখন এতই শক্তি তাহলে তিনি পাকিস্তানকে অভিশাপ দিচ্ছেন না কেন? নেটিজেনদের সেই বক্তব্যই শোনা গেল কংগ্রেসের বর্ষীয়ান নেতার মুখে। তাঁর কটাক্ষ, “প্রজ্ঞা ঠাকুরের বক্তব্য তাঁর অভিশাপেই মুম্বই হামলার শহিদ এটিএস চিফ হেমন্ত কারকারের সর্বনাশের হয়েছে। এভাবেই যদি ঠাকুর জঙ্গি মাসুদ আজহারকেও অভিশাপ দিতেন তাহলে হয়তো সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের প্রয়োজন পড়ত না।”

Advertisement

[আরও পড়ুন: মোদির রোড শোয়ের জন্য ১.৪ লক্ষ লিটার জল দিয়ে ধোয়া হয়েছে বারাণসীর রাস্তা]

ভোপালে এবার দুই হেভিওয়েটের লড়াই। একদিকে ‘রাজাসাহেব’ দিগ্বিজয় সিং। অন্যদিকে, বিজেপির নয়া অস্ত্র সাধ্বী প্রজ্ঞা। যার বিরুদ্ধে এখনও ঝুলছে দেশদ্রোহিতার মামলা। একসময় এই সাধ্বীকে জঙ্গি আখ্যা দিয়েছিলেন দিগ্বিজয়ই। ‘হিন্দু সন্ত্রাসবাদ বা গেরুয়া সন্ত্রাসবাদ’ তত্ত্বের অন্যতম প্রবর্তকও তিনি। তাঁর বিরুদ্ধে শেষ বেলায় সাধ্বী প্রজ্ঞাকেই প্রার্থী করেছে বিজেপি। তাঁর দাবি, বিজেপি তাঁকে দেখে ভয় পেয়েছে। ভোপালের জনসভা থেকে দিগ্বিজয় বলেন, “আমি ভোপাল থেকে প্রার্থী হচ্ছি শুনে মামা (শিবরাজ সিং চৌহান) ভয় পেয়ে গিয়েছেন। উমা ভারতীও প্রার্থী হতে চাইলেন না। বাবুলাল গৌরও শারীরিক অসুস্থতার অজুহাতে প্রার্থী হলেন না। শেষ পর্যন্ত কাউকে না পেয়ে সাধ্বীকে প্রার্থীকে করেছে।”

Advertisement

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ