Advertisement
Advertisement

Breaking News

লাগাতার তৃতীয় দিনও হিংসার আগুনে পুড়ছে কাসগঞ্জ, গ্রেপ্তার ৪৯

জারি অঘোষিত কারফিউ, বন্ধ ইন্টারনেট।

Situation in Kasganj is under control: UP DGP
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:January 28, 2018 8:58 am
  • Updated:January 28, 2018 8:58 am

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তিনদিন কেটে গেলেও শান্তি ফেরার লক্ষণ নেই উত্তরপ্রদেশের কাসগঞ্জ শহরে। রবিবার রাত ১০টা পর্যন্ত ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের সরকার। আজ সকালেও একটি কিয়স্কে আগুন ধরিয়ে দেয় উন্মত্ত জনতা। কসনা জেলার ম্যাজিস্ট্রেট আর পি সিং ঘটনাস্থলে ছুটে যান। পুলিশ ও দমকল গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আজ সকাল থেকেই অভিযুক্তদের বাড়িতে তল্লাশি শুরু করে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ।

গত শুক্রবার এক যুবকের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে হাতাহাতিকে কেন্দ্র করে অশান্তির সূত্রপাত কাসগঞ্জে। সাধারণতন্ত্র দিবসে বাইক র‍্যালি বার করা নিয়ে শুরু হয় সংঘর্ষ, ছড়ায় প্রবল উত্তেজনা। এই প্রসঙ্গে রবিবার জেলাশাসক বলেন, ‘তিনদিন আগে এক মৃত্যুর ঘটনায় পরিস্থিতি খানিকটা উত্তপ্ত হয়েছিল। কিন্তু তারপর থেকে আর নতুন করে কোনও অশান্তি হয়নি। আজ সব ঠিক আছে। প্রশাসন অক্লান্ত পরিশ্রম করছে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে।’ পুলিশের কিয়স্কে কারা আগুন ধরালো, এই নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। রবিবারও এলাকার দোকানপাট বন্ধ। পুলিশ সূত্রে খবর, ভাঙচুর ও অশান্তিতে ইন্ধন দেওয়ার অভিযোগে এখনও পর্যন্ত ৪৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। উত্তরপ্রদেশ পুলিশ শান্তি বজায় রাখার আবেদন জানিয়েছে। রাজ্য পুলিশের ডিজিপি ওপি সিং বলেছেন, ‘কাসগঞ্জের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। পুলিশ অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করেছে। টহলদারি চলছে এলাকায়।’

[বছরের প্রথম ‘মন কি বাত’-এ নারীশক্তির জয়গান প্রধানমন্ত্রীর মুখে]

Kasganj-Clashes

পুলিশ সূত্রে খবর, ২২ বছরের চন্দন গুপ্ত শুক্রবার ‘তিরঙ্গা বাইক র‍্যালি’তে অংশগ্রহণ করেন। র‍্যালিটির আয়োজন করে আরএসএসপন্থী ছাত্র সংগঠন এবিভিপি, বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। তিনি স্থানীয় একটি কলেজের কমার্সের ছাত্র। তাঁর পরিবারের দাবি, তিনি এলাকায় উন্নয়নমূলক নানা কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন বলেই তাঁকে খুন করা হল। শনিবার তাঁর শেষকৃত্যের পরই পরিস্থিতি চরমে ওঠে এই শহরে। কাসগঞ্জ জুড়ে ভাঙচুর ও তাণ্ডব চালায় একদল দুষ্কৃতী। আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় একটি বাজারে। পুড়িয়ে দেওয়া হয় একটি প্রাইভেট বাস। শনিবারই ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়। এডিজি অজয় আনন্দর নেতৃত্বে বিশাল পুলিশবাহিনী তখনকার মতো পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনলেও রাত বাড়তেই ফের দুষ্কৃতীদের দৌরাত্ম্য শুরু হয়। ফের একটি গাড়ি ও ওষুধের দোকান পুড়িয়ে দেয় বিক্ষোভকারীরা। শেষ পর্যন্ত রাতে বিশাল পুলিশবাহিনী ও র‍্যাফ নামানো হয়। জারি হয় কারফিউ। এলাকায় পেট্রলিং চালাচ্ছে পুলিশ। মাইকে ঘোষণা করা হচ্ছে, খুব প্রয়োজন না হলে বাড়ি থেকে না বেরোতে।

[শিব সেনার পর এবার টিডিপিও কি বিজেপির সঙ্গ ছাড়ছে? জল্পনা তুঙ্গে]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ