Advertisement
Advertisement
Madhya Pradesh and Rajasthan

রাজস্থান-মধ্যপ্রদেশে ‘নির্দল’দের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু বিজেপির, ‘ধীরে চলো’ নীতি কংগ্রেসের!

কংগ্রেসের দাবি, মধ্যপ্রদেশে অনায়াসেই সরকার গড়বে তারা।

Smaller parties may become kingmakers in Madhya Pradesh and Rajasthan | Sangbad Pratidin
Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:December 2, 2023 4:47 pm
  • Updated:December 2, 2023 5:48 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাজস্থান-মধ্যপ্রদেশ-সহ চার রাজ্যের ভোটগণনা রবিবার। ভোটের ফলাফল স্পষ্ট হতে রবিবার রাত পর্যন্ত সময় লেগে যেতে পারে। তবে রাজনৈতিক দলগুলির ঘুম আগেই উড়েছে। দুই রাজ্যের এক্সিট পোলের ফলাফল প্রকাশ্যে আসতেই কংগ্রেস-বিজেপি (BJP) দুই শিবিরে অঙ্ক কষা শুরু হয়ে গিয়েছে।

আসলে বিভিন্ন বুথ ফেরত সমীক্ষায় ইঙ্গিত মিলছে, রাজস্থানে (Rajasthan) এবার হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হতে চলেছে। এমনিতে রাজস্থানে পাঁচ বছর পর পর সরকার বদলের রীতি আছে। প্রতিবারই সরকার গঠন হয় পূর্ণ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়েই। কিন্তু এবার সেরাজ্যের লড়াই কঠিন। কারণ পাঁচ বছর ক্ষমতায় থাকার পরও অশোক গেহলটের (Ashok Gehlot) জনপ্রিয়তায় ভাঁটা পড়েনি। বিভিন্ন বুথ ফেরত সমীক্ষায় ইঙ্গিত, একেবারে কাটায় কাটায় লড়াই হবে মরুরাজ্যে। এমন পরিস্থিতি হতেই পারে শেষ পর্যন্ত হয়তো কংগ্রেস (Congress) বা বিজেপি কোনও দলই সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেল না। সেক্ষেত্রে গুরুত্ব বেড়ে যাবে তৃতীয় পক্ষের।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘মিগজাউম’, লণ্ডভণ্ড হবে বাংলা?]

এবারের নির্বাচনে টিকিট বণ্টন নিয়ে কংগ্রেস এবং বিজেপি (BJP) দুই শিবিরেই অসন্তোষ ছিল। ফলে দুই শিবিরের ‘বাগি’রাই নির্দল বা অন্য কোনও ছোট দলের হয়ে ভোটে দাঁড়িয়ে পড়েছেন। নিজেদের এলাকায় প্রভাব থাকার দরুন দুই শিবিরের একাধিক বিক্ষুব্ধ নেতাই জিতে আসার মতো জায়াগায় আছেন। শেষপর্যন্ত যদি পরিস্থিতি ত্রিশঙ্কু হয়, তাহলে নির্দল এবং ছোটদলগুলি গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে। রাজস্থানে ১৭-২৫ আসনে ভালো লড়াই দিতে পারে তৃতীয় পক্ষ। এই তৃতীয় পক্ষে যেমন নির্দল আছেন, তেমনি আছে বিএসপি, সিপিএম, আরএলএপি (RLP), আজাদ পার্টি এবং বাপ পার্টি। সূত্রের খবর, রাজস্থানে বিজেপি ইতিমধ্যেই এই নির্দলদের সঙ্গে এবং ছোট দলগুলির সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে। কারণ গেরুয়া শিবির মনে করছে, শেষ পর্যন্ত সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলেও সরকার চালাতে এঁদের দরকার পড়বে। তবে রাজস্থানে কংগ্রেস এখনও ধীরে চলো নীতিতেই চলেছে। কংগ্রেসের দাবি, অশোক গেহলট পোড়খাওয়া রাজনীতিবিদ। সব দলের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ আছে। দরকার পড়লে পরে অন্য দলের সমর্থনের কথা ভাবা যাবে।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ‘কেন বেশি আদরযত্ন পাবে?’, রাগে ৩ বছরের ননদকে দুধে বিষ মিশিয়ে ‘খুন’ বউদির]

একইভাবে মধ্যপ্রদেশে গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে বিএসপি, গণ্ডোয়ানা গণতন্ত্র পার্টি এবং সমাজবাদী পার্টি। এদের সঙ্গে আবার কংগ্রেস-বিজেপি দুই শিবিরই যোগাযোগ করছে। তবে কংগ্রেসের দাবি, মধ্যপ্রদেশে অনায়াসেই সরকার গড়বে তারা।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ