সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সেদিন আর বেশি দূরে নেই। যখন দিল্লি থেকে ট্রেনে চেপে মাত্র দু’ঘণ্টায় পৌঁছে যাওয়া যাবে চণ্ডীগড়ে। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব দিল্লি-চণ্ডীগড় রুটে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ২০০ কিমি গতিবেগ সম্পন্ন সেমি হাইস্পিড ট্রেন চালু করতে বদ্ধপরিকর ভারতীয় রেল। বস্তুত, জমি জটে যাতে প্রকল্পের কাজ আটকে না থাকে, সেজন্য পরিকল্পনাও বদলে ফেলা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
[মধ্যবিত্তের মাথায় হাত, রান্নার গ্যাসে উঠে যাচ্ছে ভরতুকি]
উত্তর ভারতের ব্যস্ততম রেলপথগুলির অন্যতম দিল্লি-চণ্ডীগড় করিডর। তাই দেশে প্রথম সেমি হাইস্পিড ট্রেন চালানোর জন্য এই রুটটিকেই বেছে নিয়েছে ভারতীয় রেল। কিন্তু, দিল্লির অন্তর্গত ৩২ কিমি রেলপথে ১০টি বড় বাঁক থাকার কারণে সমস্যার সৃষ্টি হয়। প্রাথমিকভাবে রেল সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, ট্রেন চলাচলে যাতে বিঘ্ন না ঘটে, সে কারণে বাঁকগুলি ভেঙে সোজা রেলপথ তৈরি করা হবে। কিন্তু, তা করতে গেলে জমির প্রয়োজন। আর জমি অধিগ্রহণ একটা সময়সাপেক্ষ প্রক্রিয়া। সেক্ষেত্রে প্রকল্পের কাজ শেষ হতে আরও বেশি সময় লাগতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন রেলের আধিকারিকরা। তাই এখন তাঁরা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, সোজা রেল লাইন পাতার দরকার নেই, বরং বাঁকে পৌঁছনোর পর ট্রেনের গতি কমিয়ে দেওয়া হবে। এ বিষয়ে ফ্রান্সের রেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠকও করেছেন ভারতীয় রেলের পদস্থ আধিকারিকরা। রেল সূত্রে খবর, আগামী অক্টোবরের মধ্যে দিল্লি-চণ্ডীগড় রুটে সেমি হাইস্পিড ট্রেন চালানো নিয়ে একটি রিপোর্টও জমা দেবে ফরাসি রেল কর্তৃপক্ষ।
[বাড়ল আয়কর জমা দেওয়ার সময়সীমা, শেষ দিন কবে?]
২৪৫ কিমি দীর্ঘ রেলপথে বাঁকের জন্য বেশ কয়েকটি জায়গায় ট্রেনের গতি কমাতে হবে ঠিকই। কিন্তু, তাতে দিল্লি থেকে চণ্ডীগড় যাওয়ার সময় কোনও হেরফের হবে না। দু’ঘণ্টাতেই গন্তব্যে পৌঁছে যাবেন যাত্রীরা। এমনই দাবি করেছেন রেল আধিকারিকরা। প্রসঙ্গত, এখন শতাব্দী এক্সপ্রেসে দিল্লি থেকে চণ্ডীগড় যেতে সময় লাগে সাড়ে তিন ঘণ্টা।
[সেভিংস অ্যাকাউন্টে সুদের হার কমাল এসবিআই ]