Advertisement
Advertisement

Breaking News

করোনা

কোভিড টেস্টের খরচ বেঁধে দিক কেন্দ্র, মত সুপ্রিম কোর্টের

সারা দেশে একই হোক এই খরচ, চাইছে শীর্ষ আদালত।

Supreme Court asks Centre to fix Covid-19 test rates across country
Published by: Paramita Paul
  • Posted:June 19, 2020 3:01 pm
  • Updated:June 19, 2020 3:06 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কোথা ও ২৫০০ টাকা তো কোথাও আবার সাড়ে চার হাজার টাকা। করোনা পরীক্ষার জন্য এক এক রাজ্যের বেসরকারি হাসপাতালে এক এক রকম ফি দেওয়া হচ্ছে। যা নিয়ে ক্ষুব্ধ সুপ্রিম কোর্টে। গোটা দেশের জন্য করোনা পরীক্ষার খরচ বেঁধে দিক কেন্দ্র সরকার। এমনটাই মত সুপ্রিম কোর্টের। 

শুক্রবার শীর্ষ আদালতে এ নিয়ে এক মামলার শুনানি ছিল। সেখানেই বিচারপতি অশোক ভূষণ, এস কে কৌল ও এমআর শাহের বেঞ্চ সারা দেশের জন্য করোনা পরীক্ষার ফি বেঁধে দেওয়ার পক্ষে মত প্রকাশ করেন। তাঁদের মতে, গোটা দেশে এই খরচ সমান রাখা হোক। তবে এ বিষয়ে শীর্ষ আদালত হস্তক্ষেপ করবে না বলেও জানিয়ে দিয়েছে। পাশাপাশি হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে সিসিটিভি বসানোর কথাও সুপারিশ করেছে শীর্ষ আদালত। এদিন আদালতে কেন্দ্র তরফে সলিসিটার জেনারেল তুষার মেহতা বলেন, পরীক্ষার খরচ বেঁধে দেওযার বিষয়টি রাজ্যের উপর ছাড়া হোক। কিন্তু তাঁর সেই আবেদন ধোপে টেকেনি। বিচারপতিরা সাফ জানিয়ে দেন, “আপনারা সর্বাধিক খরচটা বেঁধে দিন। বাকিটা রাজ্যগুলি করে নেবে।”

Advertisement

[আরও পড়ুন : বুরারি হাউসের ছায়া আমেদাবাদে! বন্ধ ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার একই পরিবারের ৬ সদস্যের ঝুলন্ত দেহ]

প্রসঙ্গত, প্রথমদিকে দেশে করোনা পরীক্ষার খরচ বেঁধে দিয়েছিল কেন্দ্র তথা ICMR। পরে চিঠি দিয়ে সেই নির্দেশিকা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। ICMR-এরের তরফে লেখা চিঠিতে বলা হয়, বেসরকারি ল্যাবে আরটি-পিসিআর (RT-PCR) পরীক্ষার সর্বোচ্চ খরচ ৪৫০০ টাকা বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। এখন তা প্রত্যাহার করা হচ্ছে। রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির সঙ্গে কথা বলে করোনা পরীক্ষার জন্য অনুমোদনপ্রাপ্ত বেসরকারি ল্যাবগুলি এই মূল্য নির্ধারণ করতে পারবে। রাজ্যও এই খরচ বেঁধ দিতে পারে।

Advertisement

[আরও পড়ুন : ‘সরকার ঘুমিয়ে পড়েছিল’, লাদাখ ইস্যুতে কেন্দ্রকে তোপ রাহুলের]

এ প্রসঙ্গে আইসিএমআরের ডিরেক্টর জেনারেল ডা. বলরাম ভার্গব জানিয়েছিলেন, “প্রথম দিকে বিদেশ থেকে এই পরীক্ষার কিটগুলি আমদানি করা হচ্ছিল। সেদিকে নজর রেখেই সর্বোচ্চ খরচ বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বিদেশের উপর নির্ভরশীলতা কমেছে। পরীক্ষার পরিকাঠামো উন্নত হয়েছে। দেশেও এই কিট তৈরি হচ্ছে। ফলে এখন আর সর্বো্চ্চ খরচ বেঁধে দেওয়ার প্রয়োজন পড়বে না।”  

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ