Advertisement
Advertisement
তুতিকোরিন

তামিলনাড়ুতে পুলিশ হেফাজতেই মৃত্যু বাবা-ছেলের, খুনের অভিযোগ পরিবারের, সরগরম রাজনীতি

ঘটনার জেরে দোকান বন্ধ রেখে প্রতিবাদ জানান তুতিকোরিনের ব্যবসায়ীরা।

Tamil Nadu Deaths Blamed On Police Torture Trigger Outrage, Political Row

মৃত বাবা ও ছেলে (ফাইল ফটো)

Published by: Sucheta Chakrabarty
  • Posted:June 27, 2020 10:19 am
  • Updated:June 27, 2020 10:52 am  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পুলিশ হেফাজতে ব্যবসায়ী ও তাঁর ছেলের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে তামিলনাড়ুর রাজ্য-রাজনীতি। তুতিকোরিনে ওই ব্যবসায়ী ও তাঁর ছেলেকে পিটিয়ে মারার অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। ঘটনার জেরে রাজ্যের শাসক দল ও পুলিশের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছেন ডিএমকে(DMK) নেতারা।

ঘটনার সূত্রপাত লকডাউনের নিয়ম অগ্রাহ্য করে দোকান খোলা নিয়ে। জানা যায়, তামিলনাড়ুর তুতিকোরিন (Tuticorin) জেলায় মোবাইলের দোকান চালাতেন পি জয়রাজ ও তাঁর ছেলে পেন্নাস। লকডাউনের মধ্যে দিনের একটি নির্দিষ্ট সময়েই দোকান খোলার অনুমতি দিয়েছে পালানিস্বামীর সরকার। কিন্তু সেই নির্দিষ্ট সময়ের পরেও জয়রাজ ও তাঁর ছেলে দোকান খুলে রেখেছিলেন বলে জানানো হয় পুলিশের তরফ থেকে। মৃতের পরিজনেদের অভিযোগ যে, সান্তনকুলম থানায় পুলিশ জয়রাজ ও তাঁর ছেলেকে প্রচণ্ড মারধর করে। তাতেই মৃত্যু হয় তাঁদের। ব্যবসায়ীও তাঁর ছেলের শরীরে পরিজনেরা আঘাতের চিহ্ন দেখেছেন বলে অভিযোগ করেন।

Advertisement

[আরও পড়ুন:১ জুলাই থেকে বদলে যাচ্ছে এটিএমে টাকা তোলার নিয়ম, জেনে নিন বিস্তারিত]

ঘটনার জেরে তুতিকোরিনে বহু ব্যবসায়ী দোকান বন্ধ রেখে প্রতিবাদ জানিয়েছেন। দুই সাব ইনসপেক্টর-সহ চার পুলিশকর্মীকে সাসপেন্ড করা হয়েছে বলেও জানা যায়। মুখ্যমন্ত্রী ই কে পালানিস্বামী (K Palaniswami) এই দু’জনের মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করে মৃতদের পরিবারকে ২০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপুরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন। মৃতদের পরিবারের যে কোনও একজনকে চাকরি দেবেন বলেও জানান। তবে পুলিশের অত্যাচারেই ব্যবসায়ী ও তাঁর ছেলে প্রাণ হারিয়েছেন কিনা সেই বিষয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রীও।

[আরও পড়ুন:করোনা রোগীদের উপর ‘করোনিল’-এর পরীক্ষামূলক ট্রায়াল, হাসপাতালকে নোটিস রাজস্থান সরকারের]

তবে মুখ্যমন্ত্রী যতই চুপ থাকুক প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছেন তামিলনাড়ুর বিরোধী দলনেতা এম কে স্ট্যালিন। তিনি দাবি করেছেন যে, যারা এই বর্বরতার জন্য যারা দায়ী, তাদের কঠোর শাস্তি দিতে হবে। ডিএমকে সাংসদ কানিমোঝিও অভিযোগ জানিয়েছেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনে। কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীও মৃতদের জন্য শোকপ্রকাশ ঘটনার তীব্র নিন্দা করেন।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement