সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রবিবার থেকে তামিলনাড়ুতে আরও তীব্র করা হল লকডাউনের মাত্রা। সংক্রমণ রুখতে তামিলনাড়ুর পাঁচটি শহর পুরোপুরি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ২৬ এপ্রিল থেকে ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত চেন্নাই, মাদুরাই, কোয়েম্বাটুরে সকাল ৬টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত এই লকডাউনের কড়া নিয়ম পালন করা হবে বলে জানা যায়। মুখ্যমন্ত্রী পালানাস্বামী তিনদিনের লকডাউনের কড়া নিয়ম পালনের ঘোষণা করেন।
করোনা সংক্রমণে দেশের সব রাজ্যগুলির মধ্যে সবথেকে খারাপ পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছে তামিল নাড়ু। এই রাজ্যের পাঁচটি শহরে সংক্রংমণে তীব্রত সবথেকে বেশি। শুধুমাত্র চেন্নাইতেই আক্রান্তের সংখ্যা চারশো, কোয়েম্বাটুরে ১৩৪, তিরপুরে ১১০। তাই সংক্রমণের মাত্রা দেখে তামিলনাড়ু মুখ্যমন্ত্রী পালানাস্বামী রাজ্যের পাঁচটি শহরে লকডাউনের কড়া নিয়ম পালন করার ঘোষণা করেন। রবিবার সকাল ৬টা থেকে বুধবার রাত ৯টা পর্যন্ত এই নিয়ম পালন করা হবে। চেন্নাই, মাদুরাই, কোয়েম্বাটুর, সেলিম, তিরুপ্পুরে এই নিয়ম লাগু করা হয়েছে। তবে লকডাউনের এই নিয়ম লাগু হবে না তামিলনাড়ুর আম্মা ক্যান্টিন, এটিএম, রেস্তঁরা, সবজি-ফলের বাজারগুলিতে। এই দোকানগুলি ছাড়া আর কোনও দোকান এই শহরে খোলার অনুমতি দেওয়া হবে না। লকডাউন পরিস্থিতিতে কমিউনিটি কিচেন (Community kitchens), অলাভজনক সংস্থা, ও লকডাউনে দায়িত্বশীল সংগঠনগুলি রাস্তায় বেরিয়ে কাজ করতে পারবেন। রাজ্যের খাদ্যশষ্যের দোকানগুলি খোলা রাখা হবে। পাশাপাশি যে রেস্তঁরাগুলি খোলা রাখলেও তা সেখানে বসে না খেয়ে খাবারগুলি বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা থাকবে।
[আরও পড়ুন:ড্রামে লুকিয়ে গ্রামে পাড়ি শয়ে শয়ে মানুষের, নামেই লকডাউন বাংলাদেশে ]
এই তিন দিনে পাঁচটি শহরের কনটেইনমেন্ট জোনগুলিতে (containment zone) কড়া নিরাপত্তা বজায় রাখা হবে। পাড়ায় পাড়ায় গিয়ে জীবানুনাশক ছড়িয়ে সংক্রমণ রোধের ব্যবস্থা করা হবে। এমতাবস্তায় আইন ভেঙে কেউ গাড়ি নিয়ে রাস্তায় বের হলে তাদের গাড়িগুলি আটক করা হবে বে জানান মুখ্যমন্ত্রী পালানাস্বামী। এই সপ্তাহের শুরুতে রাজ্যের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী। আরও বেশি করে আক্রান্তদের চিহ্নিত করতে প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে টেস্ট কিট চাওয়া হয়।