Advertisement
Advertisement

Breaking News

Hindi aggression

হিন্দি না জানায় ঋণের আবেদন নাকচ! বিস্ফোরক অভিযোগ তামিল চিকিৎসকের

দক্ষিণের রাজ্যগুলি বরাবরই হিন্দি আগ্রাসনের বিরোধিতা করে এসেছে।

Tamil Nadu Shame! Retired Govt Doctor's Loan Application 'Rejected' As He Doesn't Know Hindi | Sangbad Pratidin
Published by: Biswadip Dey
  • Posted:September 22, 2020 8:08 pm
  • Updated:September 22, 2020 8:08 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ব্যাংক থেকে ঋণ চেয়েছিলেন তামিলনাডুর (Tamil Nadu) এক অবসরপ্রাপ্ত সরকারি চিকিৎসক। কিন্তু সেই আবেদন নামঞ্জুর হয়ে যায়। কারণ তিনি হিন্দি (Hindi) জানেন না। এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ জানিয়েছেন ওই চিকিৎসক। তামিলনাডুর আরিয়ালুর জেলার জয়মকোন্দনের বাসিন্দা বালাসুব্রমনিয়ামের দাবি, তাঁর ঋণের আবেদন নাকচ করার পিছনে কারণ কেবল একটাই। হিন্দি না জানা।

[আরও পড়ুন: কৃষি বিলের প্রতিবাদে গণ আন্দোলনের পথে কংগ্রেস, লোকসভা অধিবেশনও বয়কট বিরোধীদের ]

ইন্ডিয়ান ওভারসিজ ব্যাংকের ওই শাখায় তাঁর অ্যাকাউন্ট রয়েছে গত ১৫ বছর ধরে। তাঁর অভিযোগ, তিনি সমস্ত নথি সহ ঋণের জন্য আবেদন করেছিলেন। কিন্তু ওই শাখার ম্যানেজার তাঁকে জানিয়ে দেন, তিনি কেবল হিন্দি জানেন। আর ওই আবেদনপত্র হিন্দিতে লেখা নয়। তাই এই আবেদনপত্র তিনি গ্রহণ করতে পারবেন না।

Advertisement

ইতিমধ্যেই ওই চিকিৎসক আইনি পথ ধরে সংশ্লিষ্ট ব্যাংককে নোটিশ পাঠিয়েছেন। তাঁকে মানসিক আঘাত দেওয়ার অভিযোগে ১ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণের মামলা করেছেন তিনি। ডিএমকে সভাপতি এমকে স্টালিন এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন। তাঁর দাবি, তামিলদের ভাবাবেগ নিয়ে খেলা করার অধিকার কারও নেই।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ভারতে করোনার ভ্যাকসিন আসতে পারে নতুন বছরের গোড়াতেই, দাবি শীর্ষস্থানীয় বিজ্ঞানীর]

প্রসঙ্গত, হিন্দি ভারতের জাতীয় ভাষা এমন এক ভ্রান্ত ধারণা অনেকের মধ্যে থাকলেও ভারতের কোনও জাতীয় ভাষা নেই। দেশের সর্বত্র হিন্দিকে যোগাযোগের বাধ্যতামূলক ভাষা হিসেবে দেখানোর প্রবল বিরোধী যে ক’টি রাজ্য, তামিলনাডু তাদের মধ্যে অগ্রগণ্য।

গত বছর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ হিন্দিকে দেশের প্রধান ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার পক্ষে সওয়াল করে বলেছিলেন, দেশের এমন একটি ভাষা থাকা দরকার, যাকে গোটা বিশ্ব ভারতীয় ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দেবে। তিনি দাবি করেন, দেশের ভাষাগুলির মধ্যে একমাত্র হিন্দিরই ক্ষমতা রয়েছে দেশকে বন্ধনে আবদ্ধ করার।

ওই টুইটকে ঘিরে শুরু হয় তীব্র প্রতিক্রিয়া। শেষ পর্যন্ত নিজের বক্তব্য থেকে সরে এসে অমিত জানান, তিনি কখনওই অন্য আঞ্চলিক ভাষার উপরে হিন্দিকে চাপিয়ে দেওয়ার কথা বলেননি। দক্ষিণের রাজ্যগুলি বরাবরই হিন্দি আগ্রাসনের বিরোধিতা করে এসেছে। 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ