Advertisement
Advertisement

Breaking News

‘শুধু বাজিতে আপত্তি, আজানের শব্দদূষণ নিয়ে কেন প্রতিবাদ নেই?’

শব্দবাজি আর আজানকে একাসনে বসিয়ে দিলেন ত্রিপুরার রাজ্যপাল!

Tathagata Roy compares cracker noise with Azaan, sparks row
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:October 18, 2017 3:45 am
  • Updated:October 18, 2017 3:45 am

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দীবাপলির মুখেই আজানের শব্দ নিয়ে বিতর্কের পারদ চড়িয়ে দিলেন ত্রিপুরার রাজ্যপাল তথাগত রায়। দিল্লিতে দিওয়ালিতে নিষিদ্ধ হয়েছে শব্দবাজি। তা নিয়ে বিস্তর বিতর্ক। এ নিয়ে আগেও মুখ খুলেছিলেন তথাগতবাবু। এবার তাঁর প্রশ্ন, ভোরে লাউডস্পিকারে আজানের শব্দ নিয়ে কেন কোনও কথা হয় না?

তাজমহল নিয়ে বিরূপ মন্তব্য, বিধায়ককে ভর্ৎসনা করে কৈফিয়ত তলব বিজেপির ]

Advertisement

দিল্লিতে দিওয়ালিতে শব্দবাজি নিষিদ্ধ হওয়ার পরই সরব হয়েছিলেন লেখক চেতন ভগত। তাঁর দাবি ছিল, বাজি ছাড়া দিওয়ালি একরকম অর্থহীন। তাঁর প্রশ্ন, একই নিষেধাজ্ঞা ইদের বলি বা মহরমে রক্তপাতের ক্ষেত্রেও কি বলবৎ হবে? যেহেতু এতদিন তা করা হয়নি, তাই তাঁর সিদ্ধান্ত ছিল, হিন্দুদের উৎসবের উপরই এই ধরনের আঘাত নেমে আসছে। একই মত ছিল তথাগত রায়েরও। তাঁর দাবি, কোনও পিটিশনের ভিত্তিতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হলে, কোনও একদিন হিন্দুদের দাহ প্রথাও নিষিদ্ধ হতে পারে। অন্যদিকে বাবা রামদেবের দাবি ছিল, যে কোনও বিষয় নিয়েই আদালতের দ্বারস্থ হওয়ায় কোনও কাজের কথা নয়। সর্বোচ্চ আদালতের সিদ্ধান্তে এভাবে ধর্মীয় রাজনীতির রং লেগে যাওয়ায় রীতিমতো ক্ষুব্ধ হয়েছিল ন্যায়ালয়। জানিয়েছিল, দূষণ কমানোই ছিল রায়ের লক্ষ্য। কিন্তু যেভাবে তা নিয়ে রাজনীতি হচ্ছে তা ব্যথিত করেছে সুপ্রিম কোর্টকে।

Advertisement

সুপ্রিম কোর্টের এ বক্তব্যের পরও অবশ্য মুখ বন্ধ রাখলেন না তথাগত রায়। টুইট করে তিনি জানান, বাজিতে শব্দদূষণ নিয়ে এত লড়াই চলে। তাও মাত্র কটাদিনের জন্য বাজি পোড়ানো হয়। কিন্তু বছরভর ভোর সাড়ে চারটেয় লাউডস্পিকারে আজান চলে। কই তা নিয়ে তো কোনও কথা হয় না?শব্দবাজির উপর জারি নিষেধাজ্ঞায় তথাকথিত ধর্মনিরপেক্ষদের নীরবতা তাঁকে বিস্মিত করেছেই বলে জানান তথাগতবাবু।

তাঁর এই মন্তব্যের পরই বিতর্কের ঝড় উঠেছে। দিনকয়েক আগেই লাউডস্পিকারে আজান নিয়ে মন্তব্য করে মৌলবিদের বিরগাভাজন হয়েছিলেন গায়ক সোনু নিগম। তাঁর নামে ফতোয়া জারি করেছিলেন বাংলার এক মৌলবি। শেষমেশ নিজেই মাথা কামিয়ে ফতোয়ার জবাব দিয়েছিলেন সোনু।  রাজ্যপালের মতো সাংবিধানিক পদে থাকা সত্ত্বেও তাঁর এ ধরনের বিতর্কিত মন্তব্যে বিস্মিত  দেশবাসী।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ