সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কৃষি আইন নিয়ে বিক্ষোভের প্রভাব সবচেয়ে বেশি যে রাজ্যে পড়েছে, তা হল পাঞ্জাব। আর সেই পাঞ্জাবের পুর নির্বাচনে প্রত্যাশিতভাবেই বড়সড় জয় পেল কংগ্রেস (Congress)। কার্যত ধুয়ে মুছে সাফ হয়ে গেল বিজেপি-আপ-সহ অন্য বিরোধীরা। হতাশাজনক ফলাফল অকালি দলেরও।
History has been made today!
Bathinda will get a Congress Mayor for the 1st time in 53 years!
Thank you to ALL Bathinda residents.Congratulations to the people of Bathinda for a spectacular victory.
Kudos to all Congress candidates and workers, who toiled for this day. pic.twitter.com/Xvczq5MjfU— Manpreet Singh Badal (@MSBADAL) February 17, 2021
কৃষক বিক্ষোভের (Farmers Protest) আবহে গত রবিবার পাঞ্জাবের মোট ১১৭টি পুরসভা এবং পুরনির্বাচনে ভোটগ্রহণ হয়। এর মধ্যে আটটি ছিল পুরনিগম, বাকি ১০৯টি পুরসভা। সব মিলিয়ে ২ হাজার ৩০২টি আসনে লড়াই করেছেন ৯ হাজার ২২২ জন প্রার্থী। পাঞ্জাবের কৃষি বিক্ষোভের প্রভাব ভোটবাক্সে কীভাবে পড়ছে তার খানিকটা আভাস এই নির্বাচনে পাওয়া যাবে। কারণ, পাঞ্জাবের শহরাঞ্চলের মানুষের জীবনযাপনও মূলত কৃষি নির্ভর।
[আরও পড়ুন: কৃষকদের সমর্থন করে ভুল করেছেন দিশা রবি! কেন এমন বললেন কানহাইয়া?]
বুধবার ভোটগণনা শুরু হওয়ার পর দেখা যাচ্ছে প্রত্যাশিতভাবেই কংগ্রেস প্রার্থীদের জয়জয়কার হচ্ছে। বিজেপি, অকালি দল-সহ অন্য বিরোধীরা অনেকটাই পিছনে। তবে, কংগ্রেসকে খানিকটা টক্কর দিচ্ছেন নির্দল প্রার্থীরা। যে আটটি পুরনিগমের নির্বাচন হয়েছিল, তার মধ্যে ইতিমধ্যেই ৬টি পুরনিগম দখল করে ফেলেছে হাত শিবির। এই ছ’টি পুরনিগম হল মোগা, হোশিয়ারপুর, কপুরথলা, আবোহার, পাঠানকোট, এবং ভাতিন্ডা। এর মধ্যে সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ হল ভাতিন্ডায় কংগ্রেসের জয়। ৫৩ বছর পর এই পুরনিগমটি দখল করল হাত শিবির। ভাতিন্ডা এমনিতে অকালি দলের গড় হিসেবে পরিচিত। এই কেন্দ্র থেকেই সাংসদ হন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হরসিমরত কৌর বাদল। শুধু পুরনিগমগুলি নয়, রাজ্যের অধিকাংশ পুরসভাও দখল করার পথে হাত শিবির।
[আরও পড়ুন: টানা ৯দিন বাড়ল জ্বালানির মূল্য, দেখুন কলকাতা-সহ বিভিন্ন শহরের পেট্রল-ডিজেলের দাম]
আগামী বছরই পাঞ্জাবে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে পুরনিগমের এই ফল কংগ্রেসের জন্য বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ, শুধু বিজেপি নয়, পুরনিগমের নির্বাচনে কার্যত ধূলিসাৎ হয়ে গিয়েছে আম আদমি পার্টি এবং অকালি দলও। যা বিধানসভা ভোটের আগে কংগ্রেসকে বড়সড় স্বস্তি দিতে পারে।