Advertisement
Advertisement
কেরান গ্রামে প্রথমবার ১০০ শতাংশ বিদ্যুৎ

প্রাপ্তির ঝুলি পূর্ণ, ১৫ আগস্টে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ প্রথম শুনবে দেশের প্রান্তিক গ্রাম

নতুন করে স্বাধীনতার স্বাদ, বলছেন গ্রামবাসীরা।

This village in JK border will hear PM's Speech of Indepenence Day for first time
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:July 31, 2020 3:59 pm
  • Updated:July 31, 2020 11:42 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ৭২ বছরেও যা হয়নি, সেই অপ্রাপ্তি মিটে যেতে চলেছে স্বাধীনতার তিয়াত্তরতম বর্ষে, এ বছর। ভারত-পাক সীমান্তে দেশের শেষতম গ্রামটিতে বিদ্যুদয়নের কাজ ১০০ শতাংশ শেষ। ফলে দিনে বাঁধাধরা সময় মাত্র বিদ্যুৎ সংযোগ থাকবে, এই সীমাবদ্ধতার দিনও ফুরলো। এবার থেকে ২৪ ঘণ্টাই বিদ্যুৎ পাবেন কেরান গ্রামের বাসিন্দারা। আর তার হাত ধরেই ১৫ আগস্ট অর্থাৎ স্বাধীনতা দিবসে (Independence Day) প্রথমবার প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ দেখতে পাবেন তাঁরা। এ যেন নতুন করে স্বাধীনতার স্বাদ পাওয়া, গ্রামে কান পাতলে এমনই মন্তব্য শোনা যাচ্ছে।

জম্মু-কাশ্মীরের কেরান সেক্টরের (Keran Sector) নাম কমবেশি পরিচিত, সীমান্ত সংঘর্ষ অথবা পাক জঙ্গিদের অনুপ্রবেশের মতো ঘটনার দৌলতে। কিন্তু একই নামের যে গ্রামটি দেশের একেবারে শেষ সীমায় অবস্থিত, বছরের ছ’ মাসই তীব্র শীতের কারণে মূল জায়গা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে একাকী, তার কথা হয়ত জানা ছিল না অনেকেরই। এবার একশো শতাংশ বিদ্যুদয়নের কাজ হয়ে যাওয়ায় গ্রামের অনেক অজানা কথাই প্রকাশ্যে এল। জানা গিয়েছে, এই গ্রামটিতে নাকি প্রতিদিন শুধু সন্ধেবেলা ৬টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ সংযোগ থাকত। শীতে পুরু বরফের কারণে গ্রামের রাস্তা রুদ্ধ হয়ে যেত। গোটা কুপওয়াড়া জেলার মধ্যে এই গ্রামই একমাত্র বিচ্ছিন্ন হয়ে থাকত। অসহনীয় কষ্টের মধ্যে দিন কাটাতে হত ১২০০০ পরিবারকে।

[আরও পড়ুন: সর্বনাশা নেশা! মদ না পেয়ে স্যানিটাইজার পান করে অন্তত ৯ জনের মৃত্যু অন্ধ্রপ্রদেশে]

কিন্তু এবার সেসব কষ্টের দিন শেষ। এখন বারো হাজার বাড়িতে ২৪ ঘণ্টা বিদ্যুত। কুপওয়াড়ার ডিস্ট্রিক্ট কালেক্টর অংশুল গর্গ জানাচ্ছেন, গত ১ বছর ধরে টানা কাজ হয়েছে এই গ্রামের ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিতে। সেই কাজ সম্পূর্ণ হওয়ায় শুধু যে গ্রামবাসীদের সুবিধা হয়েছে, তা নয়। সীমান্তের শেষ গ্রামের নিরাপত্তাও বাড়ানো হয়েছে।

[আরও পড়ুন: ৬০ শতাংশ পরামর্শই মানা হয়েছে, নয়া শিক্ষানীতির ভূয়সী প্রশংসা আরএসএসের শিক্ষক সংগঠনের]

তবে গ্রামবাসীরা মনে করছেন, তাঁদের সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি, এবার থেকে স্বাধীনতা দিবসে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ শুনতে পাওয়া, দেখতে পাওয়া। এবছর করোনা আবহে প্রধানমন্ত্রী ১৫ আগস্ট লালকেল্লা থেকে ভাষণ দেবেন নরেন্দ্র মোদি। ভারচুয়াল মাধ্যমে গোটা দেশ শুনবে তাঁর বক্তৃতা। আর সকলের সঙ্গে শ্রোতার সারিতে বসতে পারবেন কেরানের বাসিন্দারাও। ৭২ বছরে এই তো প্রকৃত স্বাধীনতার স্বাদ!

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ