৫ চৈত্র  ১৪২৯  সোমবার ২০ মার্চ ২০২৩ 

READ IN APP

Advertisement

গিরিরাজের বাড়ি থেকে লোপাট কোটি টাকা, অভিযোগ দায়ের ৫০ হাজারের

Published by: Bishakha Pal |    Posted: September 9, 2018 3:43 pm|    Updated: September 9, 2018 3:43 pm

Thief got Rs 1.14 cr from BJP MP’s home

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিজেপি নেতা ও সাংসদ গিরিরাজ সিংয়ের বাড়িতে চুরির অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এক ব্যক্তিকে। মঙ্গলবার তাকে গ্রেপ্তার করে পাটনা পুলিশ। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয়, সাংসদ ও চোরের বয়ানের মধ্যে রয়েছে বিস্তর ফারাক। আর এই নিয়ে এখন বেশ অস্বস্তিতে পড়েছে পুলিশ।

অভিযুক্ত চোরের নাম দীনেশ কুমার। ১.১৪ কোটি নগদ টাকা-সহ তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সেই সঙ্গে ছিল দু’টি সোনার চেন, একজোড়া কানের দুল, একটি সোনার লকেট, তিনটি সোনার আংটি, ১৪টি রুপোর কয়েন ও সাতটি হাতঘড়ি। চোরের বক্তব্য এই সব সম্পত্তিই সে পেয়েছে গিরিরাজ সিংয়ের বাড়ি থেকে। আর চুরির এই সামগ্রী নিয়েই এখন বেশ বিপত্তিতে পুলিশ। কারণ সোমবার সাংসদ চুরির যে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন, তাতে বলা হয়েছিল বাড়ি থেকে “কিছু গয়না” চুরি হয়েছে। মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত এই অভিযোগই নথিভুক্ত ছিল পুলিশের খাতায়। এমনকী, সাংসদ বা তাঁর পরিবারের কোনও সদস্যও উদ্ধার হওয়া টাকা ও গয়না নিতে থানায় আসেনি। সেই সঙ্গে ফোনটিও সুইচ অফ।

সুপ্রিম কোর্ট হাতের মুঠোয়, রাম মন্দির নিয়ে বিজেপি মন্ত্রীর মন্তব্যে বিতর্ক তুঙ্গে ]

এদিকে আবার রাজ্য বিজেপির তরফ থেকে জানানো হয়েছে, যে জিনিসগুলি উদ্ধার করা হয়েছে, তা কোনওভাবেই গিরিরাজ সিংয়ের নয়। কারণ তিনি নিজে তার দাবি জানাননি। বিহার সরকারের মন্ত্রী বিজয় কুমার চৌধুরি জানিয়েছেন, এই মামলাটি অবশ্যই তদন্ত করে দেখা উচিত। তবেই টাকার আসল মালিকের সন্ধান পাওয়া যাবে। বিজেপির রাজ্য সভাপতি মঙ্গল পাণ্ডেও একই কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, “গিরিরাজ সিং মাত্র ৫০ হাজার টাকা ও কয়েকটি গয়নার কথা বলেছিলেন। চোর যা বলেছে, তা কখনই পুলিশের বিশ্বাস করা উচিত নয়। যদি মালিকই চুরির সামগ্রীর কথা স্বীকার না করে, তাহলে কী করে সেই জিনিসগুলি তার বলা যাবে?” ইতিমধ্যেই আয়কর বিভাগ মামলার তদন্ত শুরু করে দিয়েছে। কিন্তু এনিয়ে এখনও কোনও সূত্র সামনে আসেনি।

তবে সাংসদের এই ঘটনা নিয়ে বেশ অস্বস্তিতে পুলিশ প্রশাসন। গিরিরাজ সিংয়ের সম্পত্তি নিয়ে এমনিতেই বিতর্ক রয়েছে। কারণ লোকসভা নির্বাচনের আগে তিনি ঘোষণা করেছিলেন নির্বাচনী প্রচারে তাঁর খরচের পরিমাণ ২৭ লক্ষ টাকা। বিহার সরকারের ২০১৩-র রিপোর্ট বলছে, সাংসদের সম্পত্তির পরিমাণ ৭৫ লক্ষ টাকা। অথচ দেখা যাচ্ছে, এর বাইরেও তাঁর অনেক সম্পত্তি রয়েছে যা হিসাব বহির্ভূত। এদিকে চোরের চুরির অঙ্ক আর সাংসদের অভিযোগ করা চুরির অঙ্কের মধ্যে বিস্তর ফারাক। ফলে আরও প্রকট হচ্ছে হিসেব বহির্ভুত আয়ের প্রশ্ন।

মুক্তি পাবে রাজীব হত্যাকারীরা? রবিবার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে তামিলনাড়ু ]

Sangbad Pratidin News App: খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে লাইক করুন ফেসবুকে ও ফলো করুন টুইটারে