সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পয়গম্বরকে নিয়ে বিজেপি নেত্রী নূপুর শর্মার (Nupur Sharma) বিতর্কিত মন্তব্যের (Controversial remarks on Prophet Muhammad) জেরে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে দানা বেঁধেছিল অশান্তি। বাদ ছিল না উত্তরপ্রদেশও (Uttar Pradesh)। গত শুক্রবার নমাজের পরেই চরম অশান্তির সাক্ষী হয় যোগীর রাজ্য। পুলিশ-জনতা সংঘর্ষে অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। লখনউ শহরে এদিন দেখা গেল সম্পূর্ণ উলটো চিত্র। মসজিদে প্রবেশকালে নমাজিদের হাতে গোলাপ তুলে দিলেন পুলিশকর্মীরা। হিংসা ভুলে শান্তির বার্তা দিতেই যোগীর পুলিশের এই পদক্ষেপ। প্রশাসনের এমন ‘গান্ধীগিরি’তে খুশি মুসলিম ধর্মাবলম্বীরা।
পয়গম্বর বিতর্কে ১০ জুন ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি তৈরি হয় প্রয়াগরাজ, সাহারানপুর-সহ রাজ্যের বিভিন্ন জেলায়। পাথর ছোড়া-সহ হিংসা করার অভিযোগে ৩৫৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। অন্যদিকে পরিস্থিতি সামাল দিতে গিয়ে ১৩ জন পুলিশকর্মী আহত হয়েছিলেন। এদিনের ছবি ছিল সম্পূর্ণ আলাদা। শান্তিপূর্ণভাবে নমাজপাঠে যোগ দেন মুসলিম ধর্মাবলম্বীরা।
অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (SDP) চিরঞ্জীব নাথ সিনহার (Chiranjeev Nath Sinha) নেতৃত্বে পুলিশকর্মীরা লখনউয়ের তিলে ওয়ালি মসজিদে নমাজ পড়তে আসা ব্যক্তিদের গোলাপ উপহার দেন। পুলিশপ্রধান চিরঞ্জীব নাথ সিনহা বলেন, “অতীতে যে নেতিবাচক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল তা দূর করার জন্যই এই পদক্ষেপ আমাদের। আমরা নিশ্চিত করতে চেয়েছিলাম যে নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের (মুসলিম) পাশে আমরা ছিলাম এবং আছি। এটা তাদের প্রতি ভালবাসা ও শান্তির বার্তা।”
এদিন শহরের সবকটি মসজিদেই ‘গান্ধীগিরি’ করে পুলিশ। নমাজিদের হাতে গোলাপ তুলে দেওয়া হয়। অন্যদিকে শুক্রবার মসজিদগুলি থেকেও শান্তির বার্তা দেওয়া হয়। হিংসার প্ররোচনায় পা দিতে বারণ করেন মুসলিম ধর্মীয় নেতারা। তিলে ওয়ালি মসজিদে নমাজ আদায় করতে আসা এক ব্যক্তি বলেন, “আজ শান্তিরক্ষায় মসজিদে পর্যাপ্ত পুলিশকর্মী ছিলেন। এটা ভাল ব্যাপার। পুলিশকর্মীরা নমাজ পড়তে আসা প্রত্যেককে গোলাপ উপহার দিয়েছেন। পুলিশের এমন আচরণে প্রশাসনের প্রতি বিশ্বাস বাড়বে মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষের।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.