Advertisement
Advertisement
flesh trade.

চাকরির টোপ, আগ্রার তিন মহিলাকে প্রকাশ্যে নিলামে তুলে পাচার

ধৃত পাচারচক্রের পাণ্ডা।

three tribal women lured on pretext of jobs auctioned off, forced into flesh trade | Sangbad Pratidin

ছবি: প্রতীকী

Published by: Paramita Paul
  • Posted:February 7, 2021 3:59 pm
  • Updated:February 7, 2021 4:15 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পেটের দায়ে কাজের খোঁজে বেরিয়েছিলেন ওঁরা। আর সেই সুযোগটাকেই কাজে লাগিয়েছিল এক যুবক। দেহ ব্যবসায় নামানোর জন্য ওই তিন যুবতীকে খোলা বাজারে নিলাম করে সে। সূত্র মারফত খবর পেয়ে উত্তরপ্রদেশের আগ্রা থেকে ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করল যোগীর রাজ্যের পুলিশ।

উত্তরপ্রদেশের অর্কেস্ট্রায় কাজ দেওয়ার নামে বিভিন্ন রাজ্য থেকে মেয়েদের নিয়ে আসত আগ্রার বাসিন্দা মুন্না লাল। পরে চাপ দিয়ে তাদের অচেনা যুবকদের সঙ্গে বিয়ে দিয়ে দেওয়া হত। পরে তাদের দেহব্যবসায় নামাতে প্রকাশ্যে নিলামে তোলা হত। দাম রাখা হত ৫০ হাজার থেকে ১ লক্ষ টাকা।

Advertisement

এবার উত্তরপ্রদেশের শোনভদ্র, মধ্যপ্রদেশ এবং ঝাড়খণ্ড থেকে তিনটি মেয়েকে চাকরি দেওয়ার নামে আগ্রায় নিয়ে আসা হয়। ছক অনুযায়ী তাদেরও বিয়ে দিয়ে দেওয়া হয়। তারপরই আসল গল্প সামনে আসে। প্রকাশ্যে নিলাম করে দেহব্যবসায় নামিয়ে দেওয়া হয় তাদের। এবার দিল্লির এক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের মিশন মুক্তি ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে সেই খবর পায় উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। তারপরই পাচার হওয়া তিনজনকে উদ্ধার করে তারা। পাচার চক্রের মাথা মুন্না লালকেও গ্রেপ্তার করা হয়। তার সঙ্গে কারা কারা এই চক্রের সঙ্গে যুক্ত তা খুঁজে দেখা হচ্ছে।

Advertisement

এ প্রসঙ্গে আগ্রা পুলিশ সুপার কে ভেঙ্কট অশোক জানান, টার্গেটদের খুঁজে বের করার পর সমস্ত কাজটা নিজেদের মধ্যে ভাগ বাটোয়ারা করে নিত চক্রের সদস্যরা। মুন্না বিভিন্ন গ্রামে গিয়ে কাজের টোপ দিয়ে মেয়েদের আগ্রা নিয়ে আসত। তারপর দলের অন্য সদস্যদের সঙ্গে তাদের বিয়ে দিয়ে দিত। এর পর নিলামের মাধ্যমে তৃতীয় পার্টির হাতে তাদের তুলে দিত মুন্না। তাদের সঙ্গে আর কারা কারা যুক্ত রয়েছে তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। কতজন মহিলা তাদের এই টোপের ফাঁদে পড়েছ তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

[আরও পড়ুন : কৃষি আইনের প্রতিবাদে ফের আত্মঘাতী কৃষক, চাপ বাড়ছে কেন্দ্রের উপর]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ