নন্দিতা রায়: প্রয়াগরাজ ‘গণহত্যা’র সত্য অনুসন্ধানে গিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ তুলল তৃণমূলের প্রতিনিধিদল। তৃণমূল প্রতিনিধিদের অভিযোগ, শুধু পুড়িয়ে মারা নয়, মারার আগে মহিলাদের ধর্ষণও করে দুষ্কৃতীরা। মৃতদের পরিবারের সদস্যরাই তাদের একথা জানিয়েছেন বলে দাবি তৃণমূলের। ঘাসফুল শিবিরের সাফ কথা, কেন প্রয়াগরাজের মতো জায়গায় এই ধরনের ঘটনা ঘটল, তাঁর জবাব দিতে হবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) এবং উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ, দু’জনকেই।
We stand in solidarity with the grieving family. We share your pain and we promise to fight for justice. We’re in this together!#Prayagraj #YogiDestroyingUP pic.twitter.com/fsK4qUBd8h
— AITC Uttar Pradesh (@AITC4UP) April 24, 2022
শনিবার উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) প্রয়াগরাজে (Prayagraj) একই পরিবারের পাঁচজনের খুনের (Murder) ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই দেশজুড়ে চাঞ্চল্য শুরু হয়েছে। অভিযোগ এক প্রৌঢ় দম্পতি, তাঁদের মেয়ে, পুত্রবধূ ও দু’বছরের নাতনিকে কুপিয়ে খুন করে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। এই ঘটনাকে হাতিয়ার করে যোগীর রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে সরব হয় তৃণমূল। এরাজ্যের একাধিক মন্ত্রী থেকে তৃণমূলের বহু নেতা সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রয়াগরাজের ঘটনা নিয়ে সরব হয়। ঘাসফুল শিবিরের তরফে প্রয়াগরাজে পাঁচ সদস্যের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটিও পাঠানো হয়।
[আরও পড়ুন: ‘ভূস্বর্গের তরুণদের আর কষ্ট পেতে দেব না’, ৩৭০ ধারা বিলোপের পর প্রথম কাশ্মীর সফরে দাবি মোদির]
রবিবার দুপুরেই প্রয়াগরাজ পৌঁছায় তৃণমূলের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম। যার নেতৃত্বে ছিলেন দোলা সেন। অন্যান্য সদস্যরা হলেন মমতা ঠাকুর, সাকেত গোখলে, জ্যোৎস্না মান্ডি, ললিতেশপতি ত্রিপাঠী। এঁদের সঙ্গে গিয়েছিলেন তৃণমূলের মুখপাত্র সাকেত গোখলেও। প্রয়াগরাজে গিয়ে আক্রান্ত পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে তৃণমূলের প্রতিনিধিদল। মৃতদের পরিবারের সদস্যরাই তৃণমূল (TMC) প্রতিনিধিদের জানান, পুড়িয়ে দেওয়ার আগে মহিলাদের ধর্ষণ এবং মারধর করে দুষ্কৃতীরা। তৃণমূলের প্রতিনিধিদের কাছে পেয়ে জড়িয়ে ধরে কান্নায় ভেঙে পড়তেও দেখা যায় মৃতদের পরিবারের সদস্যদের।
[আরও পড়ুন: এবার দিল্লিতে বেআইনি মন্দির ভাঙার নোটিস কেন্দ্রের, ক্ষোভে ফুঁসে উঠল AAP]
তৃণমূলের তরফে দোলা সেন অভিযোগ করেছেন, যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath) যতই বুলডোজার শাসন ব্যবস্থার কথা মুখে বলুক, আসলে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা বলে কিছু নেই। সেই হাথরস, উন্নাও থেকে বারবার তার প্রমাণ মিলছে। প্রয়াগরাজ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কেন্দ্র বারাণসীর কাছের। তাই এই ঘটনার দায় যোগী-মোদি দু’জনকেই নিতে হবে।