Advertisement
Advertisement

Breaking News

জন্ম থেকেই নজিরবিহীন মিল, এবার মাধ্যমিকেও একই নম্বর দুই যমজ ভাইয়ের

দু'জনের জন্মের ব্যবধান মাত্র দু’মিনিট।

Twin brothers got same number in Madhyamik exam of 2017
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:May 28, 2017 9:52 am
  • Updated:May 28, 2017 10:02 am

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যমজ ভাই। জন্মের সময় ব্যবধান ছিল মাত্র দু’মিনিট৷ কিন্তু অন্য কোনও কিছুতেই দু’জনের মধ্যে কোনও ব্যবধান নেই৷ সবকিছুতেই তারা যেন হরিহর আত্মা। এমনকী মাধ্যমিকের ফলেও এর প্রভাব পড়েছে। সেখানেও দু’জনেই একই নম্বর পেয়েছে। শুনতে অবাক লাগলেও এমনই ঘটনা ঘটেছে মহম্মদবাজারের কাঁইজুলি গ্রামে। দুই ভাইয়ের নাম সৌপ্তিক চক্রবর্তী ও ঋত্বিক চক্রবর্তী। দু’জনের প্রাপ্ত নম্বর ৬৪৭। শনিবার ফল প্রকাশের পরেই তাই উচ্ছ্বাসে মেতে ওঠে গোটা চক্রবর্তী পরিবার।

[মুখ্যমন্ত্রীর পিতৃপরিচয় নিয়ে কুরুচিকর আক্রমণ বিজেপি নেত্রীর]

জানা গিয়েছে, দুই যমজ ভাই-ই স্থানীয় কাঁইজুলি স্কুলের ছাত্র। তাই বরাবর একই ক্লাসে পড়াশোনা, স্কুলে যাওয়া, বেড়াতে যাওয়া এমনকী সিনেমা দেখতে গেলেও দু’জনে একসঙ্গে যেত৷ কিন্তু প্রথম শ্রেণি থেকে এতদিন কোনও পরীক্ষায় একই নম্বর ওঠেনি দু’জনের৷ এই প্রসঙ্গে মা শ্রাবন্তী চক্রবর্তী বলেন, ‘যে ভাই কম পেত তার মুখ ক’দিন ভার হয়ে থাকত৷ তাই এবার প্রার্থনা করেছিলাম, দুই ভাই যেন একই নম্বর পায়৷ অঙ্ক, ভূগোল, ইতিহাসে দু’জনের একই নম্বর৷ ৯৬, ৮৭, ৯৭ তারপরে ঋত্বিক ইংরেজিতে ৯৮ তো সৌপ্তিক তার থেকে এক নম্বর কম৷ কিন্তু শেষপর্যন্ত যোগফলে দু’জনেই এক৷’ বাবা শান্তনু চক্রবর্তী বলেন, ‘ভগবান দু’জনকে একসঙ্গে একভাবেই পাঠিয়েছেন৷ তাদের ভবিষ্যত্‍ লিখনও একইভাবে লিখছেন৷ দু’জনেই সফল হওয়ায় আমার যমজ আনন্দ৷’

Advertisement

[কলাগাছ থেকে জিনস তৈরি করে তাক লাগালেন চেন্নাইয়ের তাঁতিরা]

গোটা রাজ্যে শনিবারই প্রকাশ পেয়েছে নতুন মডেলে মাধ্যমিকের ফল। ব্যাপক হারে বেড়েছে সাফল্যের হার৷ ২০১৬ সালের ৮২.৭৬ শতাংশকে ছাপিয়ে এবার মোট সাফল্যের হার ৮৫.৬৫ শতাংশ৷ ৬৯০ নম্বর পেয়ে সম্ভাব্য প্রথম হয়েছে বাঁকুড়ার বিবেকানন্দ শিক্ষায়তন হাই স্কুলের অন্বেষা পাইন৷ ৬৮৯ নম্বর পেয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে বাঁকুড়া জেলা স্কুলের মোজাম্মল হক ও হুগলির রামনগর হাই স্কুলের অনির্বাণ খাঁড়া৷ সম্ভাব্য তৃতীয় দীপ্তেশ পাল৷ তার প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৭৷ কলকাতা থেকে প্রথম দশে ঠাঁই হয়েছে মধুমন্তী দে ও সৌম্যজিৎ বসাকের৷ দুই জনই নবম স্থান অধিকার করেছে৷ কিন্তু দুই ভাইয়ের কীর্তি নিঃসন্দেহে অতুলনীয়।

Advertisement

[ফের দাউদ-ছোটা রাজনের কাহিনি নিয়ে ফিরছেন রামগোপাল ভার্মা]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ