Advertisement
Advertisement

Breaking News

Nirmala Sitharaman

পাঞ্জাবে দলিত শিশুকন্যার ধর্ষণ নিয়ে রাহুল গান্ধী মৌন কেন, তোপ নির্মলার

হাথরাস কাণ্ডের প্রেক্ষাপটে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে একাধিক প্রশ্ন তুলে দেন নির্মলা।

Union finance minister Nirmala Sitharaman slams Rahul Gandhi | Sangbad Pratidin
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:October 24, 2020 2:14 pm
  • Updated:October 24, 2020 2:14 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হাথরাস কাণ্ডে মুখ পুড়েছে যোগী সরকারের। বর্ণবৈষম্যের নগ্ন রূপ দেখে রীতিমতো স্তম্ভিত হয়েছে দেশ। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ‘বেটি বাঁচাও, বেটি পড়াও’ বলছেন বটে, কিন্তু বাস্তবে ‘নির্ভয়া’দের সুরক্ষা দিতে ব্যর্থ হয়েছে সরকার। তা নিয়ে রীতিমতো ‘রাজনীতির খেলায়’ মেতেছে বিরোধীরাও। এহেন পরিস্থিতিতে শনিবার কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর (Rahul Gandhi) বিরুদ্ধে একাধিক প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়েছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ।

[আরও পড়ুন: অনলাইন ক্লাসে নেই মনোযোগ, মেয়েকে পেন্সিল দিয়ে খুঁচিয়ে দিল ‘নিষ্ঠুর’ মা]

এদিন এক সংবাদ সম্মেলনে হাথরাস (Hathras) কাণ্ডের প্রেক্ষাপটে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে একাধিক প্রশ্ন তুলে দেন নির্মলা। তাঁর সাফ কথা, “রাহুল, প্রিয়াঙ্কারা ধর্ষণ নিয়ে রাজনীতি করছেন। পাঞ্জাবের হোশিয়ারপুরে বিহার থেকে আসা দলিত পরিযায়ী শ্রমিকের ৬ বছরের শিশুকন্যাকে ধর্ষণ করে হত্যা করা হয়। তা নিয়ে একটি শব্দও উচ্চারণ করেননি রাহুল গান্ধী। কোনও টুইটও করেননি তিনি। ঘটনাস্থলে পিকনিক (কটাক্ষ) করতেও যাননি তিনি। যে দলের প্রধান একজন মহিলা। সেই দলের পক্ষে কি এহেন পক্ষপাতদুষ্ট প্রতিবাদ শোভা পায়?”

কংগ্রেসের বিরুদ্ধে তোপ দেগে নির্মলা আরও বলেন, “রাজনীতির স্বার্থে ধর্ষণের মতো ঘটনা ব্যবহার করা উচিত নয়। কিন্তু রাজনীতির স্বার্থেই আমরা প্রতিবাদ করছি বেছে বেছে। কোনও রাজ্যে ধর্ষণ হলে তুমুল হইহল্লা করা হয়। অথচ যখন নিজেদের রাজ্যে এমন ঘটনা ঘটে তখন চুপ থাকে কংগ্রেস।”

উল্লেখ্য, গত ১৪ সেপ্টেম্বর উত্তরপ্রদেশের হাথরাসে এক দলিত যুবতীকে উচ্চবর্ণের চার ব্যক্তি গণধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। গণধর্ষণের পরে যুবতীর উপরে বীভৎস অত্যাচারও করা হয়। এর ফলে তাঁর শরীরে নানা জায়গায় হাড় ভেঙে যায়। সারা শরীর পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়ে যায়। এই ঘটনার কথা জানতে পেরে পুলিশ ওই মেয়েটির মৃতদেহ নির্যাতিতার পরিবারের কাছ থেকে কেড়ে নিয়ে যায় বলেও অভিযোগ। পরে ৩০ সেপ্টেম্বর পরিবারের অমতেই তাঁর দেহ পুড়িয়ে দেওয়ার কথা জানা যায়। বিষয়টিকে কেন্দ্র করে উত্তাল হয়ে ওঠে গোটা দেশ। যথারীতি, আসরে নেমে পড়েন বিরোধীরাও। দলিত নির্যাতনের ইস্যুতে শাসকশিবিরকে বিঁধতে ময়দানে নেমে পড়ে জরাগ্রস্ত কংগ্রেসও। হাথরাসের উদ্দেশে রওনা দিয়ে পুলিশি ঘাড়ধাক্কাও খেতে হয় রাহুল গান্ধীকে। তবে তার আগে গাড়িতে রীতিমতো খোশমেজাজে মত্ত রাহুলের গল্প করারও একটি ভিডিও প্রকাশ্যে আসে। ফলে দানা বাঁধে বিতর্ক। সব মিলিয়ে হাথরাসের শবে রাজনৈতিক শকুনিদের হানা চোখ এড়ায়নি দেশবাসীর।

[আরও পড়ুন: বাঙালিদের মন জয়ের চেষ্টা? মহাষ্টমীর শুভেচ্ছা জানিয়ে মোদির বাংলায় টুইট নিয়ে জোর চর্চা]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ