সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রাক্তন ফুটবলার গ্যারি লিনেকারের (Garry Linekar) চাকরি যাওয়া নিয়ে বিতর্কে এবার ঢুকে পড়ল ভারতও। প্রাক্তন ফুটবলারকে বরখাস্ত করায় বিবিসির বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর। তাঁর অভিযোগ, লিনেকারের ছাঁটাই বিবিসির (BBC) দ্বিচারিতা প্রকাশ্যে এনে দিল।
Interesting to see how the BBC which makes lofty claims about journalistic objectivity & independence suspend their star anchor over his social media activity.
1/3 pic.twitter.com/iTDY3sJQHF
— Anurag Thakur (@ianuragthakur) March 11, 2023
সম্প্রতি ব্রিটিশ সরকারের একটি নীতির সমালোচনা সমাজমাধ্যমে পোস্ট করেছিলেন ইংল্যান্ডের (England) প্রাক্তন ফুটবলার। ব্রিটিশ সরকারের প্রস্তাবিত নয়া শরণার্থী আইনের বিরোধিতা করেছিলেন লিনেকার। একটি টুইটে যে ভাষায় নতুন এই আইনের খসড়া তৈরি হয়েছে, তার বিরোধিতা করেন লিনেকার। শরণার্থীদের সম্পর্কে ব্রিটিশ আইন প্রণেতাদের ভাষার তুলনা তিনি টেনেছেন নাৎসি জার্মানির সঙ্গে। আর তাতেই খাপ্পা বিবিসি কর্তৃপক্ষ। লিনেকারের মতামতকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মনে করছে চ্যানেলটি। তাই লিনেকারকে সাময়িক ভাবে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিখ্যাত ‘শো ম্যাচ অফ দ্য ডে’ সঞ্চালনা করা থেকেও বরখাস্ত করা হয়েছে প্রাক্তন ফুটবলারকে।
[আরও পড়ুন: কাশ্মীর সমস্যার ‘ভিলেন’ কি নেহরুই? ইতিহাসের গোপন নথি দেয় ‘অন্য’ ইঙ্গিত]
লিনেকারকে এভাবে সরানোর সিদ্ধান্ত নিয়ে ব্রিটেনেই বিতর্ক চরমে উঠেছে। বহু প্রাক্তন ফুটবলার বিবিসির এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করেছে। এমনকী বিক্ষোভের আঁচ মিলেছে বিবিসির (BBC) অন্দরেই। বিবিসির একাধিক সঞ্চালক লিনেকারের পাশে দাঁড়িয়ে অনুষ্ঠান করতে আপত্তি জানিয়েছেন। তালিকায় রয়েছে ইয়ান রাইট, অ্যালান শিয়েরারদের নামও।
[আরও পড়ুন: ‘প্রযোজকের ইনকাম সার্টিফিকেট দেখেন নাকি?’, দুর্নীতিতে টলি-যোগে অভিনেতাদের পাশেই শতাব্দী]
এসবের মধ্যে আবার সুযোগ বুঝে বিবিসির সমালোচনায় সরব হয়েছে ভারতও। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর (Anurag Thakur) টুইট করে বলে দিচ্ছেন, বিবিসি নিজেদের স্বাধীন এবং নিরপক্ষে সংবাদমাধ্যম বলে বড়াই করে। অথচ, সামান্য একটা সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টের জন্য এ হেন বিখ্যাত ফুটবলারকে বরখাস্ত করে দিল। এটা দ্বিচারিত ছাড়া কিছুই নয়। অনুরাগ বলছেন, ভুয়ো প্রচার আর নীতিগত সাংবাদিকতা পরস্পর বিরোধী। যারা ভুয়ো তথ্য সাজিয়ে অপপ্রচার করে তাদের কাছে অবশ্য কোনও নীতিগত অবস্থান বা নিরপেক্ষ সংবাদ পরিবেশন আশা করাই যায় না।