৪ আশ্বিন  ১৪৩০  শুক্রবার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ 

READ IN APP

Advertisement

‘ওরা বাবাকে মেরেছে, ওদের ৫০ জনের মাথা কাটা হোক’

Published by: Sangbad Pratidin Digital |    Posted: May 2, 2017 5:28 am|    Updated: May 2, 2017 5:28 am

Want 50 Pak soldiers' head, roars martyr Prem Sagar's daughter

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চোখ ভেসে যাচ্ছে জলে। বুক ফেটে যাচ্ছে বাবাকে হারানোর অসহ্য যন্ত্রণায়। তবুও গর্জে উঠলেন শহিদের কন্যা। “মাথার বদলে মাথা। আমার বাবার বলিদানের বদলে চাই ৫০ পাক সেনার মাথা।” -এমনটাই হুঙ্কার দিয়েছেন শহিদ বিএসএফ জওয়ান প্রেমসাগরের কন্যা সরোজ। সোমবার, কাশ্মীরের কৃষ্ণা ঘাঁটিতে দুই ভারতীয় জওয়ানের মাথা কেটে নিয়ে যায় পাকিস্তানের ‘বর্ডার অ্যাকশন টিম’ (বিএটি)। তাঁদের মধ্যে একজন শহিদ প্রেমসাগর। সংবাদসংস্থা এএনআইকে শহিদ প্রেমসাগরের কন্যা জানিয়েছেন, বাবার মৃত্যুর খবর তাঁকে জানায়নি প্রশাসন। যুদ্ধক্ষেত্রের সব নিয়ম ভেঙে বর্বরতার যে নিদর্শন পাক সেনা দেখিয়েছে তা পৈশাচিক। তিনি দাবি করেছেন, তাঁর বাবার মাথার পরিবর্তে ৫০ জন পাকিস্তানি সেনার মাথা কেটে আনা হোক।

সোমবার সকালে বিনা প্ররোচনায় ভারতীয় সেনার কৃষ্ণ ঘাঁটি সেক্টরকে লক্ষ্য করে ভারী মর্টার বর্ষণ করতে থাকে পাক বাহিনী। এরপর দুই ভারতীয় জওয়ানকে হত্যা করে মুণ্ডচ্ছেদ করা হয়। প্রাথমিক তদন্তে উঠে আসছে, সম্ভবত কোনও ফাঁদ পাতা হয়েছিল। যা খতিয়ে দেখতেই নিয়ন্ত্রণরেখার কাছাকাছি পৌঁছেছিলেন দুই জওয়ান। তখনই তাঁদের হত্যা করা হয়। সীমান্ত পার করে প্রায় ২৫০ মিটার ভিতরে পাক বাহিনী প্রবেশ করেছিল বলেই মনে করা হচ্ছে। হামলায় শহিদ হন বিএসএফ-এর ২০০ ব্যাটেলিয়নের হেড কনস্টেবল প্রেম সাগর ও সেনার ২২ শিখ রেজিমেন্টের নায়েব সুবেদার পরমজিৎ সিং। এই হামলার পিছনে লস্করের হাত থাকতে পারে বলেও অনুমান করা হচ্ছে। ভারতের তরফে এই আক্রমণের তীব্র নিন্দা করা হয়। পাশাপাশি এর সমুচিত জবাব দেওয়া হবে বলেও জানানো হয়। এরপরই সোমবার সন্ধেয় কাশ্মীরে পৌঁছান সেনাপ্রধান জেনারেল বিপিন রাওয়াত। এক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে পাক বাহিনীকে জবাব দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

কাশ্মীরে ক্যাশ ভ্যান লুট জঙ্গিদের, হামলায় নিহত ৫ পুলিশকর্মী  ]

কেন্দ্রের সবুজ সংকেত পেয়েই বদলা নেয় ভারতীয় সেনা। ঠিক যে অঞ্চল থেকে ভারতীয় বাহিনীর উপর হামলা চালানো হয়েছিল, সেই অঞ্চলেই পাল্টা আক্রমণ করা হয়। একই কায়দায় মর্টার বর্ষণ করে উড়িয়ে দেওয়া হয় তিন পাক সেনা ছাউনি। বেশ কয়েকজন পাক সেনার মৃত্যু হয়েছে বলেও জানা যাচ্ছে।এদিকে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই দেশের সম্পর্ক যে আরও তিক্ত হল তা বলার অপেক্ষা রাখে না। যদিও পাকিস্তানের তরফে সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। মাস কয়েক আগেই ভারত সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের মতো বলিষ্ঠ সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। তারপরও সীমান্তে পাক সন্ত্রাস অব্যাহত। ফলত সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের ফলাফল নিয়েই ইতিমধ্যে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে ভারতের অভ্যন্তরেও।

[‘পাকিস্তান জঙ্গি রাষ্ট্র, ওই দেশের সেনাও বর্বর-ক্রিমিনাল’]

Sangbad Pratidin News App: খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে লাইক করুন ফেসবুকে ও ফলো করুন টুইটারে